স্তব্ধ: যানজটের এটাই চেনা ছবি ডোমজুড়ে। —নিজস্ব চিত্র।
যানজটে নাকাল হচ্ছে ডোমজুড়। বাণীশ্রী সিনেমাহল থেকে শুরু করে ডোমজুড় ডাকঘর পর্যন্ত হাওড়া-আমতা রোডের প্রায় চারশো মিটার অংশেই মূলত এই যানজট হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই এলাকাটি ডোমজুড় শহরের প্রাণকেন্দ্র। ফলে এই রাস্তায় যানজটের প্রভাব পড়ে শহরের অন্যান্য জায়গাতেও।
সারা ডোমজুড়ে দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে। ফলে বাড়ছে জনবসতি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গাড়ি এবং মোটরবাইকের সংখ্যা। ডোমজুড়ের বুক চিরে গিয়েছে হাওড়া-আমতা রোড। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। বাণীশ্রী সিনেমাহল থেকে ডাকঘর পর্যন্ত এই রাস্তার অংশে পড়ে ডোমজুড় বাজার এবং অন্নপূর্ণা মোড়। ধূলাগড়ি থেকে ডোমজুড় পর্যন্ত অটো চলাচল করে। ডোমজুড় বাজারের ভিতর দিয়ে তা এসে হাওড়া-আমতা রোডে ওঠে। অন্য দিকে অন্নপূর্ণা মোড় থেকেই যাওয়া যায় বলুহাটি, নারনায়। এই রুটেও অটো এবং বাস চলে। এই দুটি রাস্তার কারণে ডোমজুড় বাজার এবং অন্নপূর্ণা মোড়ে যানজট হয়। বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত, অন্য দিকে বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাস্তায় যাতায়াত দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ডোমজুড় বাজার এবং অন্নপূর্ণা মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার বহাল করা হয়েছে। কিন্তু তাতে সমস্যা মেটেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ হাওড়া-আমতা রোডের পাশাপাশি একটা বিকল্প বাইপাস রাস্তার দাবি জানিয়েছেন। নাগরিকদের বক্তব্য, একটা ছোট উড়ালপুলই যানজট সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। শহরের বাসিন্দা বাপী ঠাকুর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উড়ালপুল হলে শহরের মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন। এই দাবিতে আমরা রাস্তায় নামব।’’
ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বাবলু মণ্ডলও বলেন, ‘‘উড়ালপুলের দাবি অনেক পুরনো।’’ ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বলেও দাবি তাঁর। এই প্রসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যানজট সমস্যা মেটাতে কী করা যায় তা গুরুত্ব দিয়ে ভাবব।’’