রাতভর ভোগান্তি টোলপ্লাজায়

প্রতিশ্রুতির নগদে পড়ল টান

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে আশ্বাস ছিল ডানকুনি এবং পালসিটে পর্যাপ্ত খুচরো টোল প্লাজায় থাকবে। কিন্তু বাস্তবে খুচরোর দেখা মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২৬
Share:

ডানকুনি টোলপ্লাজায় যানজট। শনিবার সকালে ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর দে।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে আশ্বাস ছিল ডানকুনি এবং পালসিটে পর্যাপ্ত খুচরো টোল প্লাজায় থাকবে। কিন্তু বাস্তবে খুচরোর দেখা মেলেনি।

Advertisement

তার জেরে শুক্রবার রাত ১২টার পরে টোল নেওয়া চালু হতেই যথারীতি দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট শুরু হয়ে যায়। পথে বের হয়ে যানজটের ঝামেলা এড়াতে তাই অনেকেই বিকল্প পথ খুঁজতে বাধ্য হন। শুক্রবার রাতে যে যানজটের শুরু শনিবার সকালেও এক্সপ্রেসওয়েতে তা দীর্ঘায়িত হয়েছে। ফলে অনেকদিন পরে টোল নেওয়ার শুরুটা কিন্তু সমস্যামুক্ত হতে পারল না।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে ঘোষণা মতো শুক্রবার রাত থেকেই ডানকুনি-সহ রাজ্যের সমস্ত রাস্তায় টোল নেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়ে যায়। নগদ টাকা নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হবে, তা আগেভাগেই আঁচ করেছিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তাই বিকল্প হিসেবে টোলের কাউন্টারে পেটিএম ব্যবস্থা ওইদিন রাত থেকেই চালু করা হয়। পাশাপাশি প্রথম দিনের ঝক্কি এবং সমস্যা এড়াতে টোলপ্লাজার কাউন্টারে বেশি পরিমাণে নগদ টাকার জোগান রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে পদস্থরা রাতে হাজির থাকার কথা ছিল।

Advertisement

প্রস্তুতি আগাম সারা হলেও কিন্তু তা ধোপে টেকেনি। টোলপ্লাজার মোট ১২টি কাউন্টারের মধ্যে তিনটিতে পেটিএম ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু পথে বের হওয়া ট্রাক চালকেরা ওই প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত নন। তার ফলে যাঁদের জন্য ওই ব্যবস্থা তাঁদের অনাগ্রহে প্রযুক্তির সুবিধা কিন্তু অধরা থেকে গিয়েছে। তার ফলে রাত যত গড়িয়েছে টোল প্লাজায় যানজট ততই বেশি হয়েছে। এই পরিস্থিতি এড়াতেই বড় মালবাহী ট্রাক এবং ছোট গাড়ি দিল্লি রোডে ধরেছেন। অনেকেই সিঙ্গুর-তারকেশ্বর না গিয়ে সোজা ডানকুনি ফ্লাইওভার দিয়ে অহল্যাবাই রোড ধরে আরামবাগের পথে গিয়েছেন। বহু গাড়ি বিকল্প পথ বেছে নেওয়ায় রাজস্বে কিছুটা ক্ষতি হল বলে মনে করছেন অনেকে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অবশ্য যুক্তি, ‘‘দীর্ঘদিন পরে কাজ শুরু হওয়ায় প্রথম দিনে কিছু সমস্যা থাকা স্বাভাবিক। তবে দিন যতটা গড়াবে পরিস্থিতি ততই স্বাভাবিক হবে।’’

ভুক্তভোগীরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। শনিবার সকালে আসানসোল থেকে কোলাঘাট যাওয়ার পথে ওমপ্রকাশ শ্রীবাস্তব নোট নিয়ে তাঁর অসহায় পরিস্থিতির কথা বলছিলেন। বিরক্তির সুরে তিনি বলেন, ‘‘মালিক ২ হাজার টাকার নোট দিয়েছে। এই টাকা নিয়ে না পারছি খেতে, না তেল কিনতে পেরেছি! ডানকুনি টোলপ্লাজায় এই টাকা নিয়েও ঝামেলায় পড়েছি। টাকা থেকেও যদি কাজে না লাগে, তা হলে টাকা রেখে কী লাভ?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন