সকাল থেকে সন্ধ্যা। যানজট লেগেই রয়েছে মাকড়দহে।
হাওড়া-আমতা রোডের ধারে ব্যস্ত এই জনপদে রয়েছে দু’টি ব্যাঙ্ক, দু’টি স্কুল, পোস্ট অফিস-সহ বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস। প্রতি দিন বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন এলাকার মানুষ মাকড়দহ বাজারে আসেন। কিন্তু দু’বেলা যানজটে মাছি গলা দায়! মানুষ তো দূর অস্ত। মাকড়দহ ১ পঞ্চায়েতের প্রধান অর্পণা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করার পরে সেই সমস্যা কিছুটা কমেছে। রাস্তা চওড়া করার জন্য প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা চলছে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১০ সালে মাকড়দহ বাজার থেকে মুম্বই রোড যাওয়ার রাস্তাটি প্রায় দ্বিগুণ চওড়া করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমতা-হাওড়া রোড ও মাকড়দহ-অঙ্কুরহাটি রোডের সংযোগস্থলটি চওড়া করার কথা হয়েছিল। কিন্তু রাস্তার পাশে কয়েকটি দোকান সরানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। তাদের পূনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ব্যাপারে মাপজোক হয়ে যায়। কিন্তু পূনর্বাসন সংক্রান্ত সমস্যা এখনও মেটেনি। ফলে রাস্তা চওড়া হওয়ার কাজও শুরু হয়েনি। মেটেনি যানজট। জেলা পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই এলাকার রাস্তা চওড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা সেটি দ্রুত রূপায়ণে উদ্যোগ নিচ্ছি।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাকড়দহ একটি ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা। হুগলির কয়েকটি এলাকা, হাওড়ার মুন্সিরহাট, জগৎবল্লভপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য অনেকেই মাকড়দহ হয়ে মুম্বই রোড যান। এছাড়া ডোমজুড়-হাওড়া, ডোমজুড়-রবীন্দ্র সদন, বড়গাছিয়া-শিয়ালদহ রুটের বাস ভায়া মাকড়দহ সলপ দিয়ে কলকাতা যায়। এছাড়া রয়েছে ডোমজুড়-আন্দুল ট্রেকার ও টোটো। মাকড়দহ বামাসুন্দরী স্কুলের ছাত্র অরিজিৎ দাস, নবনীল চট্টোপাধ্যায়দের দাবি, ‘‘এলাকাটির দ্রুত যানজট কমাতে উদ্যাোগী হোক প্রশাসন। না হলে ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছাতে পারি না।’’ ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।’’