বচসার জেরে ‘মার’ কন্ডাক্টরকে, ধৃত ২

নিয়ম ভেঙে একমুখী রাস্তা দিয়ে ছুটে আসছিল একটি গাড়ি। আচমকা উল্টো দিক থেকে তার সামনে কেন একটি বাস চলে এল, তা নিয়ে বাসচালকের সঙ্গে বচসা শুরু করেছিলেন ওই গাড়ির চালক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৫৭
Share:

নিয়ম ভেঙে একমুখী রাস্তা দিয়ে ছুটে আসছিল একটি গাড়ি। আচমকা উল্টো দিক থেকে তার সামনে কেন একটি বাস চলে এল, তা নিয়ে বাসচালকের সঙ্গে বচসা শুরু করেছিলেন ওই গাড়ির চালক। দু’জনের প্রায় হাতাহাতি হওয়ার উপক্রমও হয়। অভিযোগ, ওই সময়ে বাধা দিতে গেলে বাসের কন্ডাক্টরকে মাটিতে ফেলে বেসবল ব্যাট দিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন গাড়িচালক। ডান পা ভেঙে যায় কন্ডাক্টরের। চোট লাগে বাঁ পায়েও। এর পরে উত্তেজিত জনতা ওই গাড়ি চালককে মারধর শুরু করে। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করার পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এ দিকে, এক পুলিশকর্মীকে মারধর ও গাড়ি ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার হন ওই কন্ডাক্টরের বাবাও। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে লিলুয়া ছোট গেটের সামনে জিটি রোডে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ বেলুড় বাজারের দিক থেকে একমুখী জিটি রোড দিয়ে লিলুয়ার দিকে যাচ্ছিল ওই গাড়িটি। সেই সময়ে লিলুয়ার দিক থেকে বেলুড়ের দিক আসছিল যাত্রী বোঝাই ৫৪ নম্বর রুটের বেসরকারি ওই বাসটি। আচমকাই গাড়ি দু’টি মুখোমুখি চলে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান, সামনের দিকে এগোতে না পেরে বাস চালকের সঙ্গে বচসা শুরু করে দেন গাড়িচালক সুরজ পাণ্ডে। বাসের কন্ডাক্টর রোশন মণ্ডল নেমে এসে দু’জনকে থামানোর চেষ্টা করেন। ওই রাতে লিলুয়ার জায়সবাল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে রোশন বলেন, ‘‘আমি ওই গাড়িচালককে টেনে সরিয়ে দিতে গিয়েছিলাম। তাতেই ক্ষেপে গিয়ে আমাকে মারতে শুরু করল।’’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেগে গিয়ে গাড়ি থেকে বেসবল ব্যাট বার করে রোশনকে মারতে থাকেন সুরজ। রোশন মাটিতে পরে গেলে তাঁর পায়ের উপর বারবার ওই ব্যাট দিয়ে আঘাত করতে থাকেন সালকিয়ার বাসিন্দা ওই গাড়িচালক। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে স্থানীয়েরা এসে সুরজকে মারধর করতে শুরু করেন। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে গিরিশ ঘোষ রোড থেকে রোশনের পরিজন ও বন্ধুরাও চলে এসে ওই যুবককে পেটাতে শুরু করেন। ভেঙে দেওয়া হয় সুরজের গাড়ির কাচ। বেলুড় থানার পুলিশ পৌঁছে সুরজকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তুলতে গেলে তাঁদের উপরেও রোশনের পরিজনেরা হামলা চালান বলে অভিযোগ। পুলিশকে মারধর ও গাড়িতে ভাঙচুর করার জন্য রোশনের বাবা শ্রীলাল মণ্ডলকেও পুলিশ গ্রেফতার করে।

Advertisement

রোশনকে প্রথমে জায়সবাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতেই হালপাতালে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর কৈলাশ মিশ্র। তিনি রোশনকে মেডিক্যালে ভর্তির ব্যবস্থা করলে তাঁকে সেখানে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ জানায়, জেরায় সুরজ জানিয়েছেন, রোশন তাঁকে গালিগালাজ করায় তিনি রেগে গিয়ে মারধর করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন