বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে জখম

একতলা কারখানাটি অন্তত ৩০ বছরের পুরনো। সেখানে আতসবাজি তৈরি হতো। ১০-১৫ জন কাজ করতেন। এ দিন বিকেলে কাজ শেষের পরে কর্মীরা চলে গেলে ৬টা নাগাদ কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৭ ০১:০১
Share:

ভস্মীভূত: বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে কারখানার চাল। নিজস্ব চিত্র।

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে জখম হলেন দু’জন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায়। জখমেরা কারখানা মালিকদের আত্মীয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার কংক্রিটের ছাদ ভেঙে পড়ে। আগুন ধরে যায় গোটা কারখানায়। দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন আয়ত্তে আনে।

Advertisement

এসডিপিও (চন্দননগর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারি ছাড়পত্র পাওয়া কারখানাটি দীর্ঘদিনের পুরনো। এ দিন কোনও ভাবে বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও ভুলত্রুটি ধরা পড়লে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একতলা কারখানাটি অন্তত ৩০ বছরের পুরনো। সেখানে আতসবাজি তৈরি হতো। ১০-১৫ জন কাজ করতেন। এ দিন বিকেলে কাজ শেষের পরে কর্মীরা চলে গেলে ৬টা নাগাদ কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কারখানা লাগোয়া মালিকদের বাড়ি। বিস্ফোরণে সেই বাড়ির দেওয়াল ভেঙে হাসিনা বিবি এবং মহম্মদ কাশেম নামে দু’জন জখম হন। পড়শিরা তাঁদের চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়।

Advertisement

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কারখানার কংক্রিটের ছাদ ভেঙে পড়ে রয়েছে। বাতাসে তখনও বারুদের গন্ধ। হাজির পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেকবারই কারখানা-মালিকদের কারখানা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হলেও কাজ হয়নি। কারখানা-মালিক মহম্মদ ইসরায়েল, আখতার আলি এবং কৌশাল জামাল আতঙ্কে ঘর থেকে বেরোননি। তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

মহম্মদ সইফুল্লা নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘হঠাৎ আকাশ ফাটানো বিকট আওয়াজ! প্রথমে কিছু বুঝতে পারিনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি বাজি কারখানা থেকে আগুন বেরচ্ছে। কারখানার ছাদ ভেঙে পড়েছে।’’ একই কথা জানিয়েছেন মহম্মদ ইমরান মেহেমুদ নামে আর এক এলাকাবাসীও। তিনি বলেন, ‘‘বিকট আওয়াজে আমাদের বাড়িটাও কেঁপে উঠেছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement