জাল নোট-সহ দুই দুষ্কৃতী ধৃত শ্রীরামপুরে

জাল নোট-সহ দুই দুষ্কৃতীকে বমাল গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শ্রীরামপুরে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম নবীন রায় ওরফে ভিকি এবং সুমন পাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৬ ০১:২৮
Share:

জাল নোট-সহ দুই দুষ্কৃতীকে বমাল গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শ্রীরামপুরে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম নবীন রায় ওরফে ভিকি এবং সুমন পাল। ভিকি চন্দননগরের গোন্দলপাড়ার বাসিন্দা। সুমনের বাড়ি চন্দননগরেরই গঞ্জের বাজারের জগন্নাথবাটিতে।

Advertisement

জেলার পুলিশ সুপার প্রবীন ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘ধৃতেরা জাল নোট পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। ওই চক্রে আর কে কে আছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সবাইকেই গ্রেফতার করা হবে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

পুলিশ সূত্রের দাবি, ধৃতদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। এক সময়ে তারা চন্দননগরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী কাশীনাথ দে ওরফে কাশীর ছত্রছায়ায় ছিল। পরে ওই দল থেকে বেরিয়ে নিজেরাই দুষ্কৃতীমূলক কাজ করতে শুরু করে। তবে চন্দননগরে তারা থাকছিল না। বেশ কিছু দিন ধরেই হুগলি জেলা পুলিশ তাদের খুঁজছিল। এ দিন সূত্র মারফত খবর পেয়ে শ্রীরামপুর থানার আইসি নন্দদুলাল ঘোষ ফাঁদ পাতেন। ভিকি এবং সুমন ব্যারাকপুর থেকে ভুটভুটি চেপে শ্রীরামপুরের ধোবি ঘাটে আসতেই পুলিশ তাদের ধরে ফেলে।

Advertisement

তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে মোট ৯৬ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। সব ক’টিই ১০০০ টাকার নোট ছিল। এর মধ্যে ভিকির কাছে ৫৪ হাজার এবং সুমনের কাছে ৪২ হাজার টাকার জাল নোট ছিল। এ দিন দু’জনকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৭ দিন পুলিশ হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, মালদহ থেকে তারা ওই জাল নোট এনেছিল। সেগুলি বাজারে ছড়ানোর জন্য চক্রের অন্য কারও কাছে নিয়ে যাচ্ছিল বলে তাঁরা মনে করছেন। পুলিশের বক্তব্য, ওই টাকা কোথা থেকে এসেছে এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement