কর্তব্যরত অবস্থায় এক শ্রমিকের মৃত্যুর পরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রায় আট ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখালেন কারখানার কর্মীরা। শনিবার পোলবার সুগন্ধায় বিস্কুটের প্যাকেট তৈরির কারখানার ঘটনা। মৃত প্রবীর হালদার (৪২) চন্দননগরের যুগিপুকুরের বাসিন্দা।
পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীরবাবু ওই কারখানায় মেশিন অপারেটরের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। শুক্রবার তাঁর দায়িত্ব ছিল ছিল রাতের শিফটে। গভীর রাতে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভোর চারটে নাগাদ তিনি শুয়ে পড়েন। সকাল ছ’টা নাগাদ সহকর্মীরা বুঝতে পারেন, ঘুমন্ত অবস্থাতেই মারা গিয়েছেন প্রবীরবাবু। খবর পেয়ে পোলবা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে আসে। তখনই অন্য কর্মীরা পুলিশকে দেহ উদ্ধারে বাধা দেন।
ওই কর্মীদের দাবি, কর্মরত অবস্থায় ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাই তাঁর পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে কারখানা কর্তৃপক্ষকে। দুপুর পর্যন্ত দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কর্মীরা। শেষে মালিকপক্ষের তরফে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ ওঠে।
দুপুর ২টো নাগাদ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যায় পুলিশ। কারখানায় জনা চল্লিশ শ্রমিক কাজ করেন। কর্মীদের অভিযোগ, কারখানায় পাখা নেই। মেশিন চললে গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার সেকারণেই প্রবীরবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে ক্ষোভ কর্মীদের।