চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে উলুবেড়িয়ায় একটি নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালালেন রোগীর আত্মীয়েরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়ন দলুই (১১) নামে শ্যামপুরের ধানধালির বাসিন্দা এক বালকের পেটে যন্ত্রণা হওয়ায় এদিন সকাল সাতটা নাগাদ এই নার্সিংহোমে ভর্তি করান তার পরিবারের লোকজন। তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করিয়ে কিছু ওষুধ কিনে আনতে বলা হয় পরিবারের লোকজনকে। তাঁদের অভিযোগ, ওষুধ কিনে ফিরে এলে নার্সিংহোমের চিকিৎসকেরা জানান সায়নের মৃত্যু হয়েছে। তাকে ফিরিয়ে নিয়ে চলে আসেন তার পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি, বিকেলে শ্মশানে দেহটি যখন চিতায় তোলা হয় তখন সে একবার হেঁচকি টানে। তার মুখ দিয়ে গল গল করে রক্ত পড়তে থাকে। তারপরে সে চোখ বন্ধ করে ফেলে। তার পরিবারের লোকজন এরপরেই গ্রামবাসীদের একাংশকে নিয়ে উলুবেড়িয়ায় ছুটে আসেন। সঙ্গে আনেন দেহটি। নার্সিংহোমে হামলা চলে। তাঁদের অভিযোগ, বালকটি জীবিত থাকলেও তাকে সুচিকিৎসা না করিয়ে মৃত বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক ঘন্টা ধরে নার্সিং হোমে ভাঙচুর করা হয়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ চম্পট দেন। পালিয়ে যান চিকিৎসকেরাও। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দেহটিকে পুলিশ ময়না-তদন্তে পাঠিয়ে দেয়। এদিন রাত পর্যন্ত রোগীর আত্মীয়-স্বজন বা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কেউ কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।