এবার বজ্রআঁটুনি রিষড়ার একাংশে

প্রশাসন সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক সম্রাট চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠক করেন পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২০ ০৫:৪২
Share:

করোনাভাইরাসকে ঠেকাতে রিষড়া শহরের কয়েকটি জায়গায় বজ্রআঁটুনির বন্দোবস্ত করছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ ‘সিল’ করা হয়েছে। এই এলাকা কার্যত নিশ্ছিদ্র করতে চাইছেন প্রশাসন এবং পুরসভার আধিকারিকরা।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক সম্রাট চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠক করেন পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছি ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোখানা এলাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে কাউকে বেরোতেই হবে না।’’

পুরপ্রধান জানান, এ দিন ওই এলাকা সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড দ্রবণ দিয়ে স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ‘থার্মাল গান’ দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘প্রশাসনের নির্দেশ এবং পরামর্শ অনুযায়ী পুরসভা সব পদক্ষেপই করছে। পুরসভার সাফাই বিভাগ-সহ অন্য কর্মীরা যাতে সুরক্ষিত থাকেন, সে দিকেও আমাদের নজর থাকবে।’’

Advertisement

দিন তিনেক আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুরসভার ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে লকডাউন কড়াকড়ি ভাবে মানার ব্যবস্থা করা হবে। ১ নম্বর ওয়ার্ডে জিটি রোডের ধারে বড় মসজিদ সংলগ্ন এলাকা, ছাই রোড, চম্পা রোড কার্যত ‘সিল’ করা হয়। স্থানীয় সকাল বাজার বন্ধ করা হয়। নাগরিকদের আনাজ, মাছ, ফল সরবরাহ করতে পাড়ায় পাড়ায় ভ্যান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পুরকর্তাদের একাংশের খেদ, বার বার বলা সত্বেও বেশ কিছু জায়গায় অকারণে বাড়ি থেকে লোকজনের বেরনোর প্রবণতা কমছে না। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাকির আলি বলেন, ‘‘আমি নিজে মাইকে প্রচার করছি, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে বাইরে বের না হন। কিন্তু অনেকেই তা মানছেন না। নিজেদের ভাল তো সবাইকেই বুঝতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement