উদ্বোধন আরামবাগ-গোঘাট রেল

৯ কিমি পেরোতেই লাগল চার বছর

দূরত্ব মাত্র সাড়ে ৯ কিলোমিটার। স্টেশন মাত্র একটা। তবু সেই পথ পেরোতেই কেটে গেল চার চারটে বছর।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৬ ০৩:০২
Share:

দূরত্ব মাত্র সাড়ে ৯ কিলোমিটার। স্টেশন মাত্র একটা। তবু সেই পথ পেরোতেই কেটে গেল চার চারটে বছর।

Advertisement

তার‌কেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল সংযোগের পরিকল্পনা হয়েছিল প্রয়াত রেলমন্ত্রী গনিখান চৌধুরীর আমলে। বর্তমানে তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটারের মধ্যে তারকেশ্বরের দিক থেকে আরামবাগ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার পথে ট্রেন চলছে। ২০১২ সালে এর উদ্বোধন করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে গোঘাট পর্যন্ত লাইন সম্প্রসারণের কাজ চললেও তা এতটাই ধীরগতির ছিল যে তা নিয়ে ক্ষোভ ছিল এলাকার মানুষের। শেষ পর্যন্ত সেই অপেক্ষা শেষ হওয়ায় গোঘাটের মানুষ খুশি।

বৃহস্পতিবার হাওড়ায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করলেন। তবে আরামবাগ থেকে গোঘাট ট্রেন চলবে কাল, শনিবার থেকে।

Advertisement

যদিও ইতিমধ্যেই আরামবাগ থেকে গোঘাটের মধ্যে মিরগায় হল্ট স্টেশন তৈরির দাবি উঠেছে। গোঘাট পর্যন্ত রেল সংযোগ বাড়ায় তারকেশ্বর দিক থেকে প্রায় ৩৪ কিমির কাজ সম্পূর্ণ হল। উল্টোদিকে, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকেও ময়নাপুর পর্যন্ত প্রায় ৩৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ শেষ। সেদিকেও বিষ্ণুপুর পর্যন্ত রেল চলাচল করছে। প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ রূপায়ণে বাকি থাকল প্রায় ১৫ কিলোমিটার অংশ।

রেল সূত্রে খবর, মূলত জমি অধিগ্রহণে সমস্যার কারণেই প্রকল্পের কাজ বিলম্ব হচ্ছে। যদিও বাকি ১৫ কিলোমিটার অংশের মধ্যে গোঘাটের কামারপুকুর মৌজা পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পূর্ণ।

তবে অধিগৃহীত জায়গার মধ্যেই গোঘাট স্টেশনের পরেই ভাবাদিঘি নামে একটি এলাকা রেলপথের জন্য ভরাট করায় দিঘির অংশীদাররা রেল লাইন পাততে বাধা দিয়েছেন। এলাকার মানুষের দাবি, দিঘি যথাযথ রেখে লাইন পাততে হবে। ওই দাবি মানতে গেলে অন্তত ১৬টি বাড়ি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙা পড়বে বলে রেল সূত্রে খবর। ফলে এই অংশ নিয়ে জট রয়েছে। অন্যদিকে, কামারপুকুরের পর রেলপথের জন্য চিহ্নিত জমি এখনও অধিগ্রহণই হয়নি। যেমন অমরপুর মৌজায় রেলপথের জন্য চিহ্নিত ১৩ হাজার একর জমির মালিকরা ‘ন্যায্য’ মূল্যের দাবিতে অনড়। তাঁরা কাঠাপিছু ন্যূনতম ৭৫ হাজার টাকা দাবি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০১০ সালে শুনানিতে জমির মূল্য ধার্য হয়েছিল কাঠাপিছু ১৪ হাজার ৬৫০ টাকা। অথচ এই মৌজায় এক কাঠা জমি ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। তা ছাড়া মাত্র ২ কিলোমিটারের মধ্যে কামারপুকুর মৌজায় রেল কাঠা-পিছু ৯৬ হাজার টাকায় জমি নিয়েছে। জমি দিতে তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু তাঁরা চান ন্যায্য দাম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন