মৃত: হানি সিংহ। নিজস্ব চিত্র
ব্যবসা নিয়ে রবিবার রাতে বাড়ির সামনে কয়েকজনের সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন এক যুবক। তারপর ঘরে ফিরে খাওয়া সেরে শুতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরই গুলির শব্দ। বাড়ির লোকেরা ঘরে ঢ়ুকে দেখেন মেঝেতে পড়ে রয়েছে হানি সিংহ (২৫) নামে ওই যুবকের দেহ। তাঁর ডান হাতে রিভলভার। চুঁচুড়ার এই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবককে প্রথমে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার সকালে মারা যান ওই যুবক।
কী কারণে ওই যুবক আত্মঘাতী হলেন, সে বিষয়ে পরিজনরা কিছু বলতে পারেননি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসায়িক সমস্যার জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জিটি রোড লাগোয়া ব্যান্ডেল মোড় এলাকার বাসিন্দা হানি সিংহ বাস এবং ছোট গাড়ি ভাড়া খাটাতেন। বছর সাতেক আগে বাবার মৃত্যুর পর বাড়ির কাছেই ব্যবসার জন্য একটি দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন। বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন। হানির মা জানিয়েছেন, গত রবিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ঢোকার সময় কয়েকজন যুবকের তাঁর ঝগ়়ড়া হয়। এরপর হানি সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে তাঁর সঙ্গে খাওয়া সেরে নিজের ঘরে যান। এরপরই ছেলের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। তিনি হানির ঘরে ঢ়ুকে দেখেন তাঁর দেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে। আর মেঝে ভেসে যাচ্ছে রক্তে। তিনিই পড়শিদের ডেকে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
কাছরা পাড়ার বাসিন্দা হানি সিংহের কাকা ডালজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘ব্যবসা নিয়েই তো ছেলেটা ব্যস্ত থাকত। কেন আত্মঘাতী হল এটা বুঝতে পারছি না।’’
এলাকায় ভাল আর শান্ত ছেলে হিসেবেই পরিচিত ছিলেন হানি। পুলিশ জানিয়েছে, কারও সঙ্গে তাঁর ব্যবসা নিয়ে বিবাদ রয়েছে কি না, রবিবার রাতে কাদের সঙ্গে কী নিয়ে হানির ঝগড়া হয়েছিল, হানির কাছে রিভলভারই বা এল কোথা থেকে, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।