শিশুকে ধর্ষণে গ্রেফতার যুবক

মঙ্গলবার রাতে হুগলির ভদ্রেশ্বরের এই ঘটনায় ধৃতের নাম  নীতেশ সিংহ। ধর্ষণ, খুনের চেষ্টা এবং শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৭ ০২:০৩
Share:

অভিযুক্ত: আদালতের পথে অভিযুক্ত নীতেশ সিংহ। নিজস্ব চিত্র

বছর ছয়েকের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে যাওয়ায় একরত্তি মেয়েটিকে পাশের ডোবায় ছুড়ে ফে‌লে দিয়েছিল ওই যুবক। এলাকাবাসীই শিশুটিকে উদ্ধার করে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে হুগলির ভদ্রেশ্বরের এই ঘটনায় ধৃতের নাম নীতেশ সিংহ। ধর্ষণ, খুনের চেষ্টা এবং শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ (পকসো) আইনের ধারায় মামলা রুজু করে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। আপাতত সে সুস্থ রয়েছে।

বুধবার ধৃতকে চন্দননগর আদালতে তোলা হ‌লে বিচারক পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। চন্দননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মেডিক্যাল পরীক্ষায় শিশুটির উপর অত্যাচারের প্রমাণ মিলেছে। ধৃত যুবকও অভিযোগ স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী পুলিশ পদক্ষেপ করবে।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটি ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা। আর ছেলেটি থাকে শ্যামনগর চটকল লাইনে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গেটবাজারে কীর্তনের আসর বসেছিল। রাত পৌনে ন’টা নাগাদ শিশুটি একা ঘরের বাইরে বেরিয়ে দাঁড়িয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় নীতেশ সেখানে ঘোরাঘুরি করতে করতে সুযোগ বুঝে বাচ্চাটিকে কোলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একটু দূরে ডোবার ধারে মেয়েটির উপর সে অত্যাচার শুরু করে।

ইতিমধ্যেই মেয়েটিকে দেখতে না পেয়ে তার খোঁজ শুরু হয়। যে জায়গায় যুবকটি ওই শিশুটির উপর অত্যাচার করছিল, খুঁজতে খুঁজতে কয়েকজন হাজির হয় সেখানে। বেগতিক বুঝে নীতেশ শিশুটিকে ডোবায় ছুড়ে ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। এরপরই জনতা ওই যুবককে ধরে মারধর শুরু করে। ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। খবর পেয়ে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ এসে ওই যুবককে গ্রেফতার করে।

এমন ঘটনার কথা চাউর হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বুধবার ধৃতকে আদালতে ‌নিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কিছু লোক থানার সামনে জড়ো হয়। ধৃতকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকে তারা। পুলিশ কোনওক্রমে সেখান থেকে নীতেশকে বের করে নিয়ে যায়। স্থানীয় এক প্রৌঢ়ের কথায়, ‘‘বাচ্চাটির খোঁজ শুরু না করলে অনর্থ হত। ডোবায় ছুড়ে ফেলায় বাচ্চাটির মৃত্যুও হতে পারত। পুলিশ দোষীর শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’’

তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের বক্তব্য, ঘটনার জেরে মেয়েটি ভয় পেয়ে যায়। কীর্তনের আওয়াজে তার আর্ত-চিৎকার সম্ভবত ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। লোকজনের সামনে থেকে কী ভাবে ওই যুবক বাচ্চাটাকে তুলে নিয়ে গেল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement