জমি থেকে আলু তোলার সময় বচসার জেরে মাথায় কোদালের বাঁটের আঘাতে কাকাকে খুনের অভিযোগ উঠল ভাইপোর বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে হুগলির জাঙ্গিপাড়ার অযোধ্যা গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম নির্মল নায়েক (৪৫)। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ভাইপো গৌতম নায়েককে।
তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত অপরাধের কথা কবুল করে জানিয়েছেন, কাকা ক্রমাগত গালিগালাজ করতে থাকায় রাগে তিনি ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের সকলেই খেতমজুর। তাঁরা বাড়ির কাছেই এক জনের জমিতে আলু তোলার কাজ করছিলেন। এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ গৌতম এবং তাঁর ভাই শৈলেন ওই জমিতে কাজ শুরু করেন। আধঘণ্টা পরে স্ত্রী লক্ষ্মীকে নিয়ে নির্মল সেখানে পৌঁছন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান, নির্মল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। খেতের কাছে গিয়েই তিনি চেঁচামেচি শুরু করে দেন। দুই ভাইপো কাকা-কাকিমাকে বলেন, তাঁদের কাজ করতে হবে না। তাঁদের এ দিনের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরা যেন বাড়ি ফিরে যান। সেই কথা শুনে লক্ষ্মীদেবী বাড়ির পথ ধরেন। নির্মল অবশ্য সেখানে দাঁড়িয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। সেই নিয়ে তাঁর সঙ্গে ভাইপোদের ঝামেলা বাঁধে। অভিযোগ, বচসার মধ্যে আচমকাই গৌতম কোদালের বাঁটের বাড়ি মেরে দেন কাকার মাথায়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন নির্মল। বেগতিক বুঝে গৌতম সেখান থেকে পালায়। স্থানীয় লোকজন নির্মলকে জাঙ্গিপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মৃতদেহ শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়না-তদন্তের জন্য।
পুলিশ জানায়, নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী রেনুকা গৌতমের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিকেলে গৌতমকে গ্রেফতার করেন জাঙ্গিপাড়ার ওসি স্বপন ঠাকুর। শৈলেনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার বলেন, “এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা গিয়েছে, কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক ভালই ছিল। স্রেফ রাগের বশেই তিনি অমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন।”