খানাকুলে নির্মাণ সহায়ককে হেনস্থা, তৃণমূল নেতা অভিযুক্ত

একশো দিনের কাজ প্রকল্পে পড়ে থাকা প্রায় ৮ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার জন্য জাল বিল করতে রাজি না হওয়ায় খানাকুল-২ ব্লকের চিংড়া পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে হেনস্থা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বিভাস মালিক নামে ওই তৃণমূল নেতা হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে মিন্টু বিশ্বাস নামে ওই নির্মাণ সহায়ক গত শুক্রবার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগ মানেননি বিভাসবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৪ ০০:২৩
Share:

একশো দিনের কাজ প্রকল্পে পড়ে থাকা প্রায় ৮ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার জন্য জাল বিল করতে রাজি না হওয়ায় খানাকুল-২ ব্লকের চিংড়া পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে হেনস্থা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বিভাস মালিক নামে ওই তৃণমূল নেতা হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে মিন্টু বিশ্বাস নামে ওই নির্মাণ সহায়ক গত শুক্রবার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগ মানেননি বিভাসবাবু।

Advertisement

বিডিও অনুপকুমার মণ্ডল জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দলীয় নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে জেলা সভাধিপতি মেহবুব রহমান বলেন, “বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসে ১০০ দিন কাজ প্রকল্পে বলাইচক গ্রামে তিনটি রাস্তা এবং গৌরাঙ্গচক গ্রামের একটি রাস্তা এবং নদীবাঁধ বোল্ডারে বাঁধানোর কাজ শেষ হয়। প্রকল্পে মজুরি এবং উপকরণ বাবদ বরাদ্দ ধরা হয় প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। উপকরণের দাম এবং শ্রমিকদের মজুরি মেটানোর পরে দেখা যায়, প্রায় ৮ লক্ষ টাকা পড়ে রয়েছে।

Advertisement

সেই টাকাই ভুয়ো বিল দেখিয়ে তুলে নেওয়ার জন্য বিভাসবাবু তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ মিন্টুবাবুর। তিনি বলেন, “আমি রাজি না হওয়ায় অফিসে ঢুকে কিছু দিন আগে বিভাসবাবু আমাকে মারেন, হুমকি দেন।” ২৩ জুলাই থেকে অফিসেও যাচ্ছেন না মিন্টুবাবু। অভিযোগ উড়িয়ে বিভাসবাবুর দাবি, “জাল বিল করে টাকা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিইনি। উপকরণের ওই টাকা যথার্থই বাকি রয়েছে। নির্মাণ সহায়ক নিজের নানা দুর্নীতি আড়াল করতেই মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।”

ওই পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের কার্তিক ইসর দাবি করেছেন, মিন্টুবাবুকে মারধরের ঘটনা তাঁর অজানা। তিনি একবার হামলার অভিযোগ এবং একবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অফিসে আসা বন্ধ করেছেন। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে নানা গরমিলের তদন্তের জন্য ব্লক প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement