চন্দননগরে যুবক খুনে ধৃত তৃতীয় স্ত্রী ও গাড়ির চালক

রাস্তার মধ্যে প্রকাশ্যে চন্দননগরের পুরশ্রীর বাসিন্দা রবি দাসকে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তাঁর তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী দেবিকা এবং গাড়ির চালক পিনাকী কাঞ্জিলাল ওরফে বাপ্পাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে খুনের কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। তিন বার বিয়ে করেছিলেন রবি। প্রথম পক্ষের স্ত্রী পাপিয়া থাকেন বিঘাটিতে। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তোতার বাড়ি চন্দননগরের কাঁটাপুকুর গড়ের ধারে। তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী দেবিকাকে নিয়ে পুরশ্রীতে থাকতেন রবি। দেবিকা ডানকুনির একটি পানশালায় গান করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩৬
Share:

রাস্তার মধ্যে প্রকাশ্যে চন্দননগরের পুরশ্রীর বাসিন্দা রবি দাসকে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তাঁর তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী দেবিকা এবং গাড়ির চালক পিনাকী কাঞ্জিলাল ওরফে বাপ্পাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে খুনের কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

তিন বার বিয়ে করেছিলেন রবি। প্রথম পক্ষের স্ত্রী পাপিয়া থাকেন বিঘাটিতে। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তোতার বাড়ি চন্দননগরের কাঁটাপুকুর গড়ের ধারে। তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী দেবিকাকে নিয়ে পুরশ্রীতে থাকতেন রবি। দেবিকা ডানকুনির একটি পানশালায় গান করেন। বছর তিরিশের ওই যুবকের নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ তোতার বাড়ি থেকে দেবিকাকে নিয়ে গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন রবি। খলিসানিতে গাড়ি থামিয়ে ওষুধ কিনতে যান দেবিকা। চালক পিনাকীও নামেন। গাড়িতে বসেছিলেন রবি। তখনই গুলি করে তাঁকে খুন করা হয়।

কেন গ্রেফতার করা হল দেবিকা এবং পিনাকীকে?

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় শুরু থেকেই দেবিকা এবং পিনাকী দাবি করছিলেন, তিন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে রবিকে খুন করে যায়। কিন্তু তার কারণ তাঁরা জানেন না। কিন্তু গাড়িটি ওই সময়ে খলিসানিতে দাঁড়াবে এবং রবি গাড়িতেই বসে থাকবেন, এই সব তথ্য কী ভাবে দুষ্কৃতীরা জানবে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয় তদন্তকারীদের। দেবিকা এবং পিনাকী নামার তিন মিনিটের মধ্যেই রবিকে খুন করা হয়। পিনাকীকে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করেছিলেন দেবিকাই। তাই দু’জনের মধ্যে আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল বলে তাঁরা মনে করছেন।

তবে, ঠিক কী কারণে রবিকে খুন করা হল তা নিয়ে তদন্তকারীদের ধন্দ এখনও কাটেনি। জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, “তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত এই খুনের কিনারা হয়ে যাবে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবি তিন বার বিয়ে করলেও তিন স্ত্রীর পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। রবিবার দুপুরে দেবিকাকে নিয়ে রবি তোতার বাড়িতে খেতে যান। পরে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যান দিল্লি রোডের গর্জি মোড়ের কাছে একটি পানশালায়। গাড়িটি সেখানে গিয়ে ছেড়ে দেন। পরে সন্ধ্যায় ফের তোতার বাড়িতে ফেরেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই ওই ঘটনা। খুনের অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের প্রথম পক্ষের স্ত্রী। ধৃতদের সোমবার চন্দননগর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন