Richa Chadha birthday

‘এ দেশে কন্যাসন্তান হলে বন্দুক রাখা দরকার’, ঋচার কোন কোন মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে?

শক্তিশালী ও স্পষ্ট মতামতের জন্যও বার বার খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। বুধবার তাঁর জন্মদিন। দেখে নেওয়া যাক, ঋচার কোন কোন মন্তব্য বি-টাউনে শোরগোল ফেলেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৫৯
Share:

ঋচার জন্মদিন। ছবি: সংগৃহীত।

বলিউডের শক্তিশালী অভিনেত্রী তিনি। ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’ থেকে শুরু করে ‘মাসান’ ও ‘ফুকরে’র মতো ছবিতে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন ঋচা চড্ঢা। তবে শুধু অভিনেত্রী হিসাবে নয়, শক্তিশালী ও স্পষ্ট মতামতের জন্যও বার বার খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। বুধবার তাঁর জন্মদিন। দেখে নেওয়া যাক, ঋচার কোন কোন মন্তব্য বি-টাউনে শোরগোল ফেলেছিল।

Advertisement

১) লিঙ্গসাম্য নিয়ে বার বার কথা বলেছেন অভিনেত্রী। অথচ তিনি নিজেই ছোট থেকে পুরুষতন্ত্রের শিকার। ছোটবেলা থেকে বোঝানো হয়েছে, নারীর সবচেয়ে বড় সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে বিয়ে করা ও সংসার করার মধ্যে। তা না হলে একজন নারী অসফল। তবে বড় হয়ে সেই ধারণা বদলে যায় তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে ঋচা জানিয়েছিলেন, নারীবাদ খুবই সহজ একটি বিষয়। এখানে পুরুষদের খাটো করে মহিলাদের বড় করার কোনও উদ্দেশ্য নেই। সমান অধিকারের জন্য নারীবাদের সৃষ্টি।

২) কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে ঋচার একটি মন্তব্য নিয়ে হইহই পড়ে গিয়েছিল। ভারতে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে, তাই বন্দুক কিনতে হবে, এমন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন তিনি। ঋচা বলেছিলেন, “আমার মেয়ের ভারতে জন্ম হয়েছে। প্রথমে মনে হয়েছিল বন্দুক কিনতে হবে। যদিও পরে অবশ্য ভাবি যে, না এ সব দরকার নেই। মেয়েকে আমার মতো দৃঢ়চেতা বানাব।”

Advertisement

৩) ঋচার কন্যা জন্ম নিয়েছে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে, অস্ত্রোপচার করে নয়। সে কথা তিনি লিখেছিলেন সমাজমাধ্যমে। কিন্তু সেখানেও নেটাগরিক নানা ধরনের কটাক্ষ করতে থাকে। তখন চাঁচাছোলা ভাষায় উত্তর দিতে পিছপা হননি তিনি। ঋচা লিখেছিলেন, “যদি যোনি-প্রসব শব্দ ব্যবহার না করে আমি নর্ম্যাল প্রসবের শব্দটি লিখি, তাতে সমস্যার কী আছে! এটা আমার পাতা। যা ইচ্ছা হয় তা-ই লিখব। আমার যোনি আমার সন্তান। নারীস্বাধীনতা আমায় এটাই শিখিয়েছে।”

৪) ২০২০ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের হিংসার ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন বলিউডের কয়েক জন অভিনেতা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঋচাও। সেই সময়ে এক মিছিলে যোগ দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ঋচা। এর কারণে কটাক্ষের শিকারও হতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকি, দেশদ্রোহীও বলা হয় তাঁকে।

৫) তথাকথিত নায়িকাসুলভ চেহারা নয় ঋচার। ছিপছিপে হওয়া বা 'ডিভা' হয়ে ওঠার দিকে কোনও দিকে মন ছিল না তাঁর। বলিউডে পা রেখেই শুনতে হয়েছিল চেহারা নিয়ে নানা কটাক্ষ। ওজন বৃদ্ধি নিয়ে ঐশ্বর্যা রাইকেও নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। সেই সময়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ঋচা। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আসলে লোকে ওকে হিংসে করে। ও দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা। আসলে চেহারা নিয়ে লোককে খারাপ কথা বলা বা ট্রোল করা মানসিক সমস্যার উদাহরণ।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement