দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ডোমজুড় আজাদ হিন্দ ফৌজ মহাবিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদককে সরাতে অনাস্থা এনেছিলেন সেখানকার কয়েক জন সদস্য। কিন্তু শুক্রবার নির্ধারিত বৈঠকে তাঁদের কেউই উপস্থিত না থাকায় বাতিল হয়ে গেল সেই অনাস্থা প্রস্তাব। অনাস্থার পক্ষে থাকা কয়েক জন সদস্যকে আটকে রেখে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।
কলেজের অধ্যক্ষ অসীম ঘোষের উপস্থিতিতে এ দিন অনাস্থার উপরে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাড়ে ১২টাতেও অনাস্থার পক্ষে কেউ না আসায় কলেজের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে শুক্রবার অনাস্থা বৈঠকের জন্য ছাত্র প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছিল। তবে অনাস্থা প্রস্তাবের সমর্থকেরা কেউ আসেননি। আমি নিজে তাঁদের ফোন করেছিলাম। তাঁরা আসবে না বলে জানিয়ে দেন। ফলে, ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক অপরিবর্তিত থেকে গেল।’’
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ আফ্রিদির দাবি, ‘‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছিল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা আমার সঙ্গে থাকায় তাতে কাজ হয়নি।’’ পক্ষান্তরে, অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী এক ছাত্র প্রতিনিধির দাবি, ‘‘এ দিন সকাল থেকে আমাদের সমর্থকদের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রেখে হুমকি দেওয়া হয়। আমরা কলেজ ক্যাম্পাসে কোনও অশান্তি চাইনি বলেই বৈঠকে যাইনি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’’ তবে কাউকে কোথাও আটকে রাখা হয়নি বলে দাবি করেছে ছাত্র সংসদের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। তাঁদের এক নেতার দাবি, ‘‘অনাস্থা পাশ করাতে ছাত্রছাত্রী জোগাড় করতে না পেরে ওঁরা কলেজের দিকে আসেনি।’’
১৯৯৮ সাল থেকে ওই ছাত্র সংসদ টিএমসিপি-র দখলে। কিন্তু ২০০৮ সালের পর থেকেই সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে বলে টিএমসিপি-রই একটি সূত্রের খবর। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি (সদর) তথা ডোমজুড় কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অনুপম ঘোষ বলেন, ‘‘১৯৯৮ সাল থেকে ়ডোমজুড় কলেজের ছাত্র সংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের সঙ্গী। সম্প্রতি সেই ছাত্র সংসদে কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আলোচনা করে মেটানো হবে।’’