আহত সুপ্রিয়।—নিজস্ব চিত্র।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে কিছু দিন ধরেই গোঘাটের কামারপুকুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং সহ-সম্পাদকের (এজিএস) বিবাদ চলছিল। মঙ্গলবার কলেজে তরোয়াল নিয়ে ঢুকে সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোপ মারার অভিযোগ উঠল সহ-সম্পাদক লাল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।
গুরুতর আহত সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর দু’টি হাতের চারটি আঙুলে এবং পিছনে গভীর ক্ষত হয়েছে। গোলমাল শুনে পুলিশ কলেজে যায়। তবে, অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্র সংসদের সহ-সম্পাদক অভিযুক্ত লাল চক্রবর্তী ও তাঁর সঙ্গী হাসান চৌধুরী পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।
কলেজের টিচার-ইনচার্জ মহীতোষ গায়েন বলেন, “কলেজে ঘটনাটি ঘটায় ছাত্র সংসদের পক্ষে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যাপারে আমার কাছে আবেদন জানানো হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে বিষয়টা জানিয়েছি।”
ওই সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, লালের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ওঠায় তাঁকে সম্প্রতি সংগঠন থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ থেকেই দু’পক্ষের টানাপড়েন শুরু। এ দিন সুপ্রিয় কলেজের অফিসের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। অভিযোগ, তখনই হাসানকে সঙ্গী করে তরোয়াল নিয়ে সেখানে লাল হাজির হন। সুপ্রিয় বলেন, “লালা আমার ঘাড়ে কোপ মারতে গিয়েছিল। আমি ঘাড় সামলাতে গেলে দু’হাতের আঙুলে কোপ পড়ে। পিছনেও কোপ মারে। আমার চিৎকারে অন্য ছাত্রেরা চলে এলে ওরা পালায়।”
এই ঘটনায় ওই সংগঠনের জেলা সভাপতি শুভজিৎ সাউ বলেন, “দলীয় ভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন আইনের পথে চলবে।”