লগ্নি সংস্থার বাড়ির সামনে বিক্ষোভকারীরা। রয়েছে পুলিশও।
টাকা ফেরতের দাবিতে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার কর্তার বাড়িতে ঢুকে বিক্ষোভ দেখালেন এজেন্ট এবং আমানতকারীরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর চৌরঙ্গী মোড়ে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌতম দে নামে ওই ব্যক্তি একটি অর্থলগ্নী সংস্থার ম্যানেজার। তিনি সংস্থার তিনটি শাখার দায়িত্বে ছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরে খাদিনা মোড়ের কাছে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে তিনি সংস্থার কাজকর্ম চালাতেন। অন্তত ৫০ জন এজেন্ট নিয়োগ করে টাকা তোলা শুরু হয়। আমানতকারীদের ঋণও দেওয়া হত। অভিযোগ, মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেলেও টাকা ফেরত্ দিচ্ছেন না সংস্থা কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করলে তাঁরা শুধুই আশ্বাস দিচ্ছিলেন। মাসখানেক আগে আচমকাই চুঁচুড়ায় সংস্থার অফিসটি বন্ধ হয়ে যায়। কর্তাব্যক্তিরা গা ঢাকা দেন।এর পরেই গৌতম-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আমানতকারীরা। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা খবর পান, গৌতম বাড়িতে ফিরেছেন। সকাল ৮টা নাগাদ শ’খানেক আমানতকারী এবং এজেন্ট তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হন। শুরু হয় বিক্ষোভ। গৌতমবাবু যাতে বাইরে বেরোতে না পারেন, সে জন্য দরজায় তালা দিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে বিক্ষোভ থামেনি। পুলিশের সামনেই এক সময় গৌতমবাবুর ঘরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ গৌতমবাবুকে আগলে রাখে। গৌতমবাবু বলতে থাকেন, “এই মূর্হূতে টাকা ফেরত্ দেওয়ার পরিস্থিতি নেই। কেননা, সারদা কাণ্ডের জেরে ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে হিসেব-নিকেশ করে টাকা ফেরত্ দেওয়া হবে।” শেষ পর্যন্ত অবশ্য যত তারাতারি সম্ভব টাকা ফেরতের আশ্বাস দেন তিনি। তার পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ঈদের কেনাকাটা। উলুবেড়িয়া।