একটি পিকনিকের আসরে বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে কোন্নগরের জোড়াপুকুর এলাকায় সংঘর্ষে জড়ালেন বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। আহত হন দু’পক্ষের কয়েক জন। প্রতিবাদে সোমবার জেলার বিভিন্ন জায়গায় জি টি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। যার জেরে নাকাল হলেন সাধারণ মানুষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির জেলা সভানেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে রবিবার সন্ধ্যায় কোন্নগরের জোড়াপুকুর এলাকায় এক পথসভা করে বিজেপি। সেই সময়ে কাছেই স্থানীয় কিছু লোক পিকনিক করছিলেন। সেখানে বক্সে গান চলছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে সেই গান আস্তে করার অনুরোধ করতে যাওয়া হলে দু’পক্ষের বচসা বাধে। বিষয়টি হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। সেখানে চলে আসে আরও কিছু যুবক। দু’পক্ষের মারামারি বাধে। বিজেপির অভিযোগ, প্রতিপক্ষের সকলেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। মারামারিতে জখম হন দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন। তাঁদের মধ্যে এক বিজেপি সমর্থক, এক তৃণমূল সমর্থক এবং এক সাধারণ যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তৃণমূল ও বিজেপি দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করে পুলিশের কাছে। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের এই ‘হামলা’র প্রতিবাদেই এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সোমবার সকাল থেকে চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর, চন্দননগরের তেমাথা, চাঁপদানি, শেওড়াফুলি এবং উত্তরপাড়ার থানার সামনে কোথাও দশ মিনিট, কোথা পনেরো বা কোথাও আধ ঘণ্টা অবরোধ করেন। উত্তরপাড়া থানাতেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।
তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে, এই দাবিতে সোমবার বিকেলে কোন্নগর এলাকায় প্রতিবাদ-মিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিল থেকে জেলা বিজেপি সভানেত্রী কৃষ্ণাদেবীর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। কৃষ্ণাদেবী বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হলেও তাঁর দলের লোকেরা বিরোধী দলের নেত্রীর বাড়ি ভাঙচুর করছে। সাধারণ মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। সিপিএম আমলে যা দেখা যায়নি, এখন তা-ই দেখা যাচ্ছে।” কৃষ্ণাদেবীর বাড়িতে হামলায় দলের কেউ জড়িত বলে মানতে চাননি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। তাঁর দাবি, “ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সদস্যই জড়িত নন। মিথ্যা অভিযোগ তুলে দলের বিরুদ্ধে কুত্সা রটানো হচ্ছে।”