কমিউনিটি হল। নিজস্ব চিত্র।
কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল কমিউনিটি হল। কিন্তু তার পরে আট বছর কেটে গেলেও সেটি চালু হয়নি। পড়ে থেকে ভবনটি ক্রমশ জীর্ণ হয়ে পড়ছে। ফলে, দরজা খোলার আগেই নতুন করে সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। উদয়নারায়ণপুরের গড়ভবানীপুর-সোনাতলা পঞ্চায়েতের সোনাতলা গ্রামে ওই কমিউনিটি হল চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। মাঠেঘাটে মণ্ডপ বেঁধেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হচ্ছে তাঁদের।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তৎকালীন বাম বিধায়ক ননীগোপাল চৌধুরী এবং হাওড়া জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হলটি তৈরি হয়েছিল। নাম দেওয়া হয় সোনাতলা কমিউনিটি হল। ওই ভবনে রয়েছে একটি বিশাল হলঘর, মুক্তমঞ্চ এবং অফিস ঘর। এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের কথা ভেবেই ভবনটি গড়ে তোলা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটির তালা খোলেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এত দিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পনে থাকায় ভবনটির রং চটে গিয়েছে। দেখভালের অভাবে জানলা-দরজা জীর্ণ হয়ে পড়েছে, মেঝে ফেটে গিয়েছে। ছাদে জল জমছে। ঝড়বৃষ্টিতে ভবনটি ন,্ট হয়ে যেতে বসেছে। দেওয়ালে ফাটল ধরছে। নন্তু মল্লিক, নিমাই আদক, নুরুল আমিনদের মতো স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভবন থাকতেও তাঁদের অনুষ্ঠান সারতে হচ্ছে খোলা জায়গায় মণ্ডপ বেঁধে। মণ্ডপ বেঁধে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা ব্যয়সাপেক্ষ। ফলে খোলা মাঠে অনুষ্ঠান করতে অনেকে উৎসাহ হারাচ্ছেন। মণ্ডপ করে অনুষ্ঠান করতে বর্ষাকালে সমস্যা বেশি হয়। গড়ভবানীপুর-সোনাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান ধর্মদাস দলুই বলেন, “কমিউনিটি হলটি খুলে দেওয়ার জন্য জেলা পরিষদে জানিয়েছি। আলোচনা চলছে।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কল্যাণ ঘোষ বলেন, “উদয়নারায়ণ পুরের যাবতীয় বিষয় স্থানীয় বিধায়ক দেখেন। উনিই ভাল বলতে পারবেন।” বিধায়ক সমীর পাঁজার বক্তব্য, “কমিউনিটি হলটির কিছু অংশ মেরামত করা দরকার। মেরামত করে তা খুলে দেবার বন্দোবস্ত চলছে।”