বেলুড়ের অগ্নিদগ্ধ তরুণীর বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচার দরকার। তবে তা করার মতো শারীরিক স্থিতিশীলতা এখনও নেই তাঁর। মেডিক্যালে বার্ন ইউনিট না থাকায় ওই তরুণীকে স্ত্রী-শল্যচিকিত্সা বিভাগে রাখা হয়েছে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, ওই তরুণীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরে পোড়ার ক্ষত দ্রুত শুকোনোর জন্য প্রয়োজনীয় দামি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। সেগুলি হাসপাতালে না থাকায় বাইরে থেকে কিনে দিতে হচ্ছে বলে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ওই তরুণীর গায়ে আগুন দেওয়ায় অভিযুক্ত যুবক মোবাইল বন্ধ করে দেওয়ায় কললিস্ট, টাওয়ার লোকেশন থেকে কোনও সূত্র পাওয়া যাচ্ছে না। তার ছবি আশপাশের সমস্ত থানায় পাঠানো হয়েছে। তবে ওই যুবকের কয়েক জন সঙ্গীর খোঁজ মিলেছে। তাঁদের জেরা করেও সূত্র পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে বালি-হাওড়া জেলা সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে ওই তরুণীকে দেখতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর কাছেই ওই তরুণীর মা আক্ষেপ করেন, টাকার অভাবে মেয়ের যথাযথ চিকিত্সা করাতে পারছেন না তাঁরা। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার ভর্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার টাকার ওষুধ কিনেছি। লোকের বাড়িতে কাজ করি। কোথায় পাব এত টাকা!”
তরুণীর পরিবারের প্রতি সরকারি অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সূর্যকান্তবাবু বলেন, “ঘটনার পরে এত ঘণ্টা কেটে গেলেও সরকারের তরফে কেউ দেখতে পর্যন্ত আসেননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও আসেননি। দুর্ভাগ্য, মনে হচ্ছে আমিই এখনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী রয়েছি। তাই দেখতে এসেছি।” তাঁর অভিযোগ, “যে ওষুধ হাসপাতাল থেকে পাওয়ার কথা তা-ও তরুণীর পরিবারকে কিনতে হচ্ছে। সরকারকে বলব চিকিত্সার সমস্ত দায়িত্ব নিতে হবে।”