দল হারলেও ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়ালেন বিএস পার্কের সুকান্ত

সামনে লাল-হলুদ জার্সিধারীরা। উল্টো দিকে বৈদ্যবাটির পঁচাত্তর পেরনো বিএস পার্ক ক্লাবের খেলোয়াড়রা। স্কোরবোর্ড বলছে ইস্টবেঙ্গল-৪, বিএস পার্ক-১। তবে, প্রবল প্রতিপক্ষকে রুখে দেওয়ার কম চেষ্টা করেননি হুগলির ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির ছেলেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৪ ০১:০০
Share:

সামনে লাল-হলুদ জার্সিধারীরা। উল্টো দিকে বৈদ্যবাটির পঁচাত্তর পেরনো বিএস পার্ক ক্লাবের খেলোয়াড়রা। স্কোরবোর্ড বলছে ইস্টবেঙ্গল-৪, বিএস পার্ক-১। তবে, প্রবল প্রতিপক্ষকে রুখে দেওয়ার কম চেষ্টা করেননি হুগলির ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির ছেলেরা। মঙ্গলবার সকালে ইস্টবেঙ্গল মাঠে প্র্যাকটিস ম্যাচে ভালই লড়ে গেলেন তাঁরা। তাঁদের পক্ষে একমাত্র গোলটি করলেন সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বিএস পার্ক এ বার শ্রীরামপুর মহকুমা ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। লিগে তাদের ৭০ মিনিট খেলতে হয়। এ দিন অবশ্য ৯০ মিনিটের খেলা ছিল। লাল-হলুদ ব্রিগেডের বিপক্ষে রক্ষণ আঁটোসাঁটো করেই দল নামান বিএস পার্ক কোচ গোপীনাথ পাইন। প্রথম দিকে বিএস পার্কের ছেলেরা ভালই টক্কর দিচ্ছিলেন। তবে, পঁচিশ মিনিটের মাথায় জিতেন মুর্মুর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গলকে আর ধরে রাখা যায়নি। উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে ছেলেদের টানা নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ আর্মান্দো কোলাসো। ছিলেন অ্যালভিটো ডি’কুনহাও ছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের অনেকে এখন আইএসএল খেলতে ব্যস্ত। বাকি নিয়মিত খেলোয়াড়দের প্রায় সবাই অবশ্য বৈদ্যবাটির দলটির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন। প্রথমার্ধে ব্যবধান আর না বাড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনটি গোল খায় বিএস পার্ক। তার মধ্যে জিতেন আরও একটি এবং সুবোধ কুমার ও অবিনাশ রুইদাস বাকি দু’টি গোল করেন। শেষ দিকে ফ্রি-কিক থেকে লাল-হলুদের জালে বল জড়িয়ে ব্যবধান কমান বিএস পার্কের সুকান্ত।

বিএস পার্কের কর্মকর্তা সৌমেন ঘোষ বলেন, “ছেলেদের মানসিকতা বদল করা এবং মনোবল বাড়ানোর জন্য আমরা ময়দানের অন্য বড় দলগুলির বিপক্ষেও নামার চেষ্টা করব।”

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন