তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগের গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের ইত্যাদি অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন তৃণমূলেরই তিন কর্মাধ্যক্ষ-সহ দলের একাংশ। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন মণ্ডলের বিরুদ্ধে মোট ২৬ জন সদস্যের মধ্যে ১৪ জন সদস্যর সাক্ষর সংবলিত অনাস্থা প্রকাশ করা চিঠি বুধবার মহকুমাশাসক প্রতুলকুমার বসুর কাছে দেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসক জানিয়ছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে পঞ্চায়েত আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটাভুটি করে সভাপতি নির্বাচনে তপন মণ্ডল ১৪-১১ ভোটে দলেরই আর এক নেতা আতাউলকে হারিয়ে সভাপতি হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। পুলিশ লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনকে কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তারপরেও একাধিকবার দু’পক্ষের নানা বিষয়ে মতের অমিলে ছোটখাট অশান্তি লেগেই ছিল। সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা সদস্যদের পক্ষে পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আতাউল হক বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনতে, দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতেই এই অনাস্থা। আর এক সদস্য মুনমুন রায় বলেন, “সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা, আর্থিক দুর্নীতি, স্বজনপোষণ মাত্রাছাড়া হয়েছে। গত দেড় বছর আমার কুমারগঞ্জ এলাকার দুঃস্থদের জন্য একটা ত্রিপল পর্যন্ত পাইনি।”
তপনবাবুর বক্তব্য, “অনাস্থা প্রস্তাব আনার খবরটা লোকমুখে শুনেছি। সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা। উন্নয়নের গতি রোধ করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।”
দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্ত, দলে আলোচনার আগে কোনওমতেই কোথাও অনাস্থা আনা যাবে না। এর পরেও যাঁরা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দল শীঘ্রই কঠোর ব্যবস্থা নেবে।”