দু’হাতের আটটি আঙুল কাটা এবং মুণ্ডহীন অবস্থায় পড়ে থাকা বাঁশবেড়িয়ার এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ মিলল রবিবার রাতে ব্যান্ডেল চার্চ এলাকায় গঙ্গার পাড়ে। পাঁচ দিন ধরে রামবাবু রাজভড় (২৮) নামে ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন। দেহটি উদ্ধারের পরে নিহতের মা সুশীলাদেবী ছেলের বাঁ হাতের উল্কিতে তাঁর নাম দেখে শনাক্ত করেন।
তবে, কী কারণে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে অন্ধকারে পরিবারের লোকজন। পুলিশ জানায়, একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিহতের বিরুদ্ধে খুন-সহ নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। কয়েক বার তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। হাজতবাসও করতে হয় ওই যুবককে। পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তথাগত বসু।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশবেড়িয়ার ঝুলোনিয়া মোড়ে রামবাবুদের বাড়ি। তিনি পেশায় ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী। গত মঙ্গলবার রাতে একটা ফোন আসার পরে নিজের মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আর ফেরেননি। বুধবার থানায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। রবিবার রাতে মুণ্ডহীন দেহটি পড়ে থাকতে দেখে কয়েক জন মাঝি এবং স্থানীয় বাসিন্দা পুলিশে খবর দেন। দেহটি উদ্ধারের পরে ওই রাতেই শনাক্ত করেন রামবাবুর পরিবারের লোকজন। সোমবার থানায় খুনের অভিযোগও জানান তাঁরা। তবে, তা কারও নামে করেননি।
নিহতের মা সুশীলাদেবী বলেন, “মঙ্গলবার একটা ফোন আসার পরই ছেলে বেরিয়ে যায় কোনও কিছু না বলে। ওকে খুনের ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।’’ নিহতের স্ত্রী সোনি রাজভড় বলেন, “বেশ কিছু দিন ধরেই কোনও বিষয় ওকে ভাবিয়ে তুলেছিল। তবে, তা নিয়ে কিছু বলত না। সেই কারণে খুন কি না, বুঝতে পারছি না।”