হেস্টিংসে অচলাবস্থা অব্যাহত

নিরাপত্তা নেই জানিয়ে সরকারি বৈঠকে এলেন না মিল কর্তৃপক্ষ

নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে শ্রীরামপুরে শ্রম দফতরে বৈঠকে এলেন না হেস্টিংস জুটমিল কর্তৃপক্ষ। মিলে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটাতে বুধবার শ্রীরামপুরের ডেপুটি শ্রম কমিশনারের দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথা ছিল। রাজ্যের পরিষদীয় সচিব তপন দাশগুপ্তের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। শ্রমিকদের অভিযোগ, সমস্যা জিইয়ে রাখতেই বৈঠক এড়িয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৩২
Share:

নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে শ্রীরামপুরে শ্রম দফতরে বৈঠকে এলেন না হেস্টিংস জুটমিল কর্তৃপক্ষ। মিলে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটাতে বুধবার শ্রীরামপুরের ডেপুটি শ্রম কমিশনারের দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথা ছিল। রাজ্যের পরিষদীয় সচিব তপন দাশগুপ্তের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। শ্রমিকদের অভিযোগ, সমস্যা জিইয়ে রাখতেই বৈঠক এড়িয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ডেপুটি শ্রম কমিশনার অমল মজুমদার বলেন, “নিরাপত্তাহীনতার কারণে সিনিয়র অফিসার এবং অন্য আধিকারিকরা বৈঠক থাকতে পারবেন না বলে মিল কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। বিষয়টি আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি।” মিলের সিইও শম্ভুনাথ পালের দাবি, “আমাদের মনে হয়েছে ওখানে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। সে কথাই চিঠিতে জানানো হয়েছে। কলকাতায় বৈঠক হলে আমরা যাব।” কিন্তু শনিবারই তো মিলের অফিসাররা বৈঠকে ছিলেন। কোনও ঝঞ্ঝাট হয়নি। তা হলে নিরাপত্তাহীনতা কোথায়? সিইও-র যুক্তি, “ওই দিন আমাদের সিনিয়র অফিসাররা জাননি। যাঁরা গিয়েছিলেন, পরিবেশ দেখে তাঁরা যা জানিয়েছেন তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

তপনবাবু বলেন, “এটা ওঁদের বাহানা। অচলাবস্থা জারি রাখতেই হয়তো ওঁরা এমন করছেন। আগামী সপ্তাহে কলকাতায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হচ্ছে। সমস্যা মেটাতে সরকার বদ্ধপরিকর।” প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈঠকে হাজির হতে অস্বীকার করায় মিল কর্তৃপক্ষকে কড়া চিঠি পাঠানো হবে।

Advertisement

৫ নভেম্বর থেকে তিনটি শিফ্টের পরিবর্তে দু’টি শিফ্টে কাজ চালানো হবে বলে মিল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন। তাতে কাজ হারানোর আশঙ্কায় শ্রমিকদের একাংশ খেপে গিয়ে মিলের ভিতরে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালান। বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে পুলিশ আক্রান্ত হয়। মিল কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। বেশ কয়েক জন গ্রেফতারও হন। মিল বন্ধ না হলেও এখনও উৎপাদন চালু হয়নি। শ্রমিকরা মিলে ঢুকছেন না। কর্তৃপক্ষও এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করছেন না। মিল সচল করতে শ্রম দফতর অবশ্য গোড়া থেকেই চেষ্টা করছে। গত শুক্রবার অমলবাবু মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠকে বসেন। পরের দিন ওই দফতরেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয় তপন দাশগুপ্তের উপস্থিতিতে। দু’দিনই মিল কর্তৃপক্ষের তরফে ডেপুটি সিইও শিবনারায়ণ পান এবং পার্সোনেল ম্যানেজার অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। শ্রম দফতরের অফিসার জানান, বুধবার আলোচনার সিদ্ধান্ত আগের বৈঠকেই নেওয়া হয়েছিল। মিলের অফিসাররা তাতে সইও করেন। ওই অফিসার বলেন, “শ্রীরামপুরের ওই দফতরে বহু বৈঠক হয়। নিরাপত্তাজনিত সমস্যা কখনও হয়নি। আগের দিন সেখানে পুলিশ ছিল। এ দিনও পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়। এ ভাবে প্রশাসনকে অপদস্থ করা হল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement