পুজোর দু’দিনে গুলিতে দুই দুষ্কৃতী খুন শ্রীরামপুরে

পুজোর দিনগুলিতে শহরকে নিরাপদ রাখতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু দুষ্কৃতীদের উপদ্রব থামল না শ্রীরামপুরে। পুজোর দু’দিনে শহরের দু’টি এলাকায় গুলিতে খুন হল দুই দুষ্কৃতী। নিহতদের নাম তারাশঙ্কর মিত্র ওরফে চিমা (২৯) এবং অমিত ঘোষ (৩৩)। দু’টি ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। দু’টি ক্ষেত্রেই খুনের কারণ বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে পুরনো শত্রুতা বা রেষারেষি বলে পুলিশের অনুমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৪ ০১:২৮
Share:

পুজোর দিনগুলিতে শহরকে নিরাপদ রাখতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু দুষ্কৃতীদের উপদ্রব থামল না শ্রীরামপুরে। পুজোর দু’দিনে শহরের দু’টি এলাকায় গুলিতে খুন হল দুই দুষ্কৃতী। নিহতদের নাম তারাশঙ্কর মিত্র ওরফে চিমা (২৯) এবং অমিত ঘোষ (৩৩)। দু’টি ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। দু’টি ক্ষেত্রেই খুনের কারণ বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে পুরনো শত্রুতা বা রেষারেষি বলে পুলিশের অনুমান।

Advertisement

কিন্তু পুজোর সময়ে এ ভাবে খুনের ঘটনা সামনে আসায় আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, “দু’টি খুনের পরেই পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চাতরার বাসিন্দা চিমা এলাকার একটি পুজো মণ্ডপের পিছনে ক্লাবঘরের সামনে বসে কয়েক জনের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন চিমা। রাত ১টা নাগাদ একটি গাড়িতে চড়ে কয়েক জন দুষ্কৃতী সেখানে যায়। চিমার সঙ্গে তাদের বচসা হয়। আমচকাই ওই দুষ্কৃতীরা চিমাকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালায়। চিমার গায়ে তিনটি গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, এলাকার দাগি সমাজবিরোধী নটনারায়ণ ঘোষ ওরফে যিশু ওই ঘটনায় যুক্ত। তদন্তে নেমে শনিবার রাতে আরামবাগ থেকে গাড়িটি পুলিশ আটক করে। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক প্রশান্ত পালকে। যিশু ও তার শাগরেদদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। নিহতের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়। ধৃত গাড়ি-চালককে রবিবার শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১০ দিন পুলিশ হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

শুক্রবার বিকেলে মাহেশ কলোনিতে এলাকারই কয়েক জন দুষ্কৃতীর সঙ্গে তর্কাতর্কি বাধে রাইল্যান্ড সার্কুলার রোজের বাসিন্দা অমিতের। একটি বোমা পড়ে। আগ্নেয়াস্ত্র বের করে অমিতকে তাড়া করে দুষ্কৃতীরা। প্রাণে বাঁচতে অমিত দৌড়ে একটি বাড়িতে ঢুকতে যায়। তখনই তাকে কাছ থেকে গুলি করে পালায় ওই দুষ্কৃতীরা। ঘট‌নাস্থলেই মৃত্যু হয় অমিতের।

পুলিশ জানায়, অমিতের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়। তাকে খুনের অভিযোগে বল্লভপুুর এলাকার গঙ্গার ধার থেকে শনিবার রাতে রাকেশ সিংহ এবং প্রতাপ রায় ওরফে গ্যাড়া নামে দু’জনকে ধরা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে খুনে ব্যবহৃত পাইপগানটি উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন