প্রাণ হাতে খন্দপথে, কাঠগড়ায় প্রশাসন

স্থানীয় প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু খানাখন্দে ভরা রাস্তায় নিত্য ভোগান্তির পাশাপাশি কমতি নেই দুর্ঘটনার। কিন্তু স্থানীয় মানুষের এ হেন সমস্যায় পঞ্চায়েত থেকে জেলা প্রশাসন এখনও কেউই এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জগৎবল্লভপুর শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৪ ০২:২১
Share:

ইছানগরী-মুন্সিরহাট রাস্তার অবস্থা। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।

স্থানীয় প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু খানাখন্দে ভরা রাস্তায় নিত্য ভোগান্তির পাশাপাশি কমতি নেই দুর্ঘটনার। কিন্তু স্থানীয় মানুষের এ হেন সমস্যায় পঞ্চায়েত থেকে জেলা প্রশাসন এখনও কেউই এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ।

Advertisement

ইছানগরী-মুন্সিরহাট রোডের প্রায় পুরোটাই খানাখন্দে ভরা। বর্ষায় জমা জলে তা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। হাওড়ার জগৎবল্লভপুর-১ নম্বর এবং শঙ্করহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তিন কিলোমিটার এই রাস্তায় দিনের পর দিন দুর্ঘটনা ঘটতে থাকলেও রাস্তা সারানোর বিষয়ে প্রশাসন নির্বিকার। অথচ হাওড়া জগৎবল্লভপুরের ইছানগরী মুন্সিরহাট রোড গত এক বছর ধরে বেহাল। খন্দপথে প্রসূতিদের হাসপাতাল নিয়ে যেতে যেমন সমস্যা হয়, তেমনি সমস্যায় পড়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। যানবাহনও বিপদজ্জনকভাবে দুলতে দুলতে যাতায়াত করে। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, বর্ষায় সমস্যা আরও বাড়ে। কারণ জমা জলে গাড়ির চালক গর্তের গভীরতা আন্দাজ করতে না পারায় দুর্ঘটনাও ঘটে অহরহ। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ হাফিজউদ্দিন, রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, “প্রাণ হাতে নিয়ে রোজকার যাতায়াতে পরিবারের লোকেরা চিন্তায় থাকে।”

প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১১ সালে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে রাস্তাটি মেরামত হয়েছিল। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাস্তা ভেঙে যায়। পিচ-স্টোনচিপস্ উঠে গিয়ে এখন খোওয়া বেরিয়ে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সীতাপুর, ইছানগরী, মুন্সিরহাট, নাইকুলি, ঝেড়ো, হাফেজপুর, চাঁদুল, শিবানন্দবাটী, খড়দহ ব্রাক্ষণ পাড়া, ভূপতিপুর, বড়দীপ গ্রাম-সহ আশপাশের বহু এলাকার লক্ষধিক মানুষের যাতায়াত এই রাস্তায়। রাস্তার সংস্কার নিয়ে জগৎবল্লভপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা সাঁধুখা এবং শঙ্করহাটি-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ সাইফুল বলেন, “ভারী ভারী ট্রাক যাতায়াতের ফলে রাস্তাটি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মেরামতের ব্যাপারে জেলা পরিষদ এবং বিডিওকে জানানো হয়েছে।”

Advertisement

জেলা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কল্যাণ ঘোষ বলেন, “ওই রাস্তা মেরামতির জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। বর্ষার পরেই কাজ শুরু হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন