পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে ঘেরাও শিক্ষকেরা

মারপিট করার অভিযোগে পাঁচ ছাত্রকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ইউনিট টেস্টে বসতে বারণ করেছিলেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার ওই ছাত্রদের অভিভাবক এবং গ্রামবাসীরা ঘেরাও করল শিক্ষকদের। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার জগৎপুর আদর্শ বিদ্যালয়ে। খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে শিক্ষকদের ঘেরাওমুক্ত করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৪ ০০:৩৯
Share:

মারপিট করার অভিযোগে পাঁচ ছাত্রকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ইউনিট টেস্টে বসতে বারণ করেছিলেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার ওই ছাত্রদের অভিভাবক এবং গ্রামবাসীরা ঘেরাও করল শিক্ষকদের। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার জগৎপুর আদর্শ বিদ্যালয়ে। খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে শিক্ষকদের ঘেরাওমুক্ত করে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। ওইদিনও স্কুলে ইউনিট টেস্ট ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বেঞ্চে বসা নিয়ে নবম ও দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র মারপিট শুরু করে। এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ওঠে পাঁচজন ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরীক্ষা শেষ হলে প্রহৃত ছাত্রের বাবা এসে স্কুলে বিষয়টি জানান। তারপরেই স্কুলের পক্ষ থেকে নবম ও দশম শ্রেণির ওই পাঁচজন ছাত্রকে পরবর্তী পরীক্ষায় বসতে নিষেধ করা হয়। এর পরেও ওই পাঁচজনের মধ্যে দশম শ্রেণির এক ছাত্র বুধবার পরীক্ষা দিতে আসে। এ দিন স্কুলে প্রধানশিক্ষক ছিলেন না। মাসাদুল মল্লিক নামে ওই ছাত্র জানায়, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক তাকে পরীক্ষায় বসতে নিষেধ করেন। এর পর ছাত্রটি বাড়ি চলে যায়। পরে তার বাবা স্কুলে এসে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে অনুরোধ করেন ছেলেকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রের বাবা ও গ্রামবাসীরা এসে শিক্ষকদের ঘেরাও করেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বাকি চার ছাত্রের অভিভাবকেরাও। মাসাদুলের বাবা সাগির মল্লিক বলেন, “আমি শিক্ষকদের অনুরোধ করেছিলাম আমার ছেলে যদি মারপিট করে থাকে তার বিচার তো পরেও করা যাবে। আপাতত তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হোক। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই অনুরোধ না রাখায় গ্রামবাসীরা রেগে গিয়ে শিক্ষকদের ঘেরাও করেন।”

এ দিকে পাঁচজন ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে কে মানা করেছিলেন তা নিয়ে এ দিন ধোঁয়াশা দেখা যায় প্রধান শিক্ষক এবং ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বক্তব্যে। প্রধান শিক্ষক নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, “আমি ওই ছাত্রদের পরীক্ষা দিতে আসতে বারণ করিনি। বুধবার আমি স্কুলে ছিলাম না। কী হয়েছে তা-ও বলতে পারব না।” অন্য দিকে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বিজয় মাইতি বলেন, “প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই আমি ছাত্রদের পরীক্ষায় বসতে দিইনি।” পুলিশের উপস্থিতিতে ঠিক হয়েছে আজ, বৃহস্পতিবার স্কুলের পরিচালন সমিতির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement