আসন্ন পুরভোটে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে স্থানীয় নেতাদের সহমতের ভিত্তিতে এগোতে বলছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু হুগলিতে এ নিয়ে এক বৈঠকে তৃণমূলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সামনেই এক সাংসদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন জেলার তিন বিধায়ক।
শনিবার চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য বিধায়ক-সাংসদদেরকে নিয়ে গঠিত কোর-কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন ফিরহাদ। সেখানে জেলার বিধায়ক-সাংসদেরা নিজের নিজের এলাকার পুরসভার সম্ভাব্য প্রার্থী-তালিকা ফিরহাদ হাকিমের হাতে পর্যালোচনার জন্য তুলে দেন। নিজেদের মধ্যেও বিলি করেন। সেখানেই ওই গোলমাল।
তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সেই তালিকা দিতেই আপত্তি তোলেন সেখানকার বিধায়ক সুদীপ্ত রায় এবং চাঁপদানির বিধায়ক মুজফ্ফর খান এবং উত্তরপাড়ার বিধায়ক অনুপ ঘোষাল। কিছু দিন আগে পর্যন্তও উত্তরপাড়ার কয়েকটি স্কুলের পরিচালন সমিতির ক্ষমতায় অনুপবাবু, তাঁর দুই মেয়ে এবং অনুপবাবুর ঘনিষ্ঠদের থাকা নিয়ে কটাক্ষ করেন কল্যাণবাবু। তা নিয়ে তুমুল হট্টগোলও হয়। শেষমেশ ফিরহাদই সকলকে শান্ত করেন।
প্রার্থী নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যাতে মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য জেলার নেতাদের সতর্কও করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “সহমতের ভিত্তিতে আপনারা ব্লক স্তর থেকে যে সব নাম উঠে আসছে, তাঁদের প্রাধান্য দিন। এটা করতে গিয়ে গিয়ে যদি মতে না মেলে তা হলে জেলা নেতৃত্বকে জানান। প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করবে।”
বৈঠকে বচসা নিয়ে ওই তিন বিধায়ক বা কল্যাণবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, পরে ফিরহাদ বলেন, “প্রার্থী নিয়ে মতবিরোধ হতেই পারে। তা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।” বৈঠকের আগে বাঁশবেড়িয়ায় একটি জলপ্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন পুরমন্ত্রী।