চণ্ডীতলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

বিধায়ক মনোনীত সভাপতিকে সরানোর দাবি, বিক্ষোভ স্কুলে

বিদ্যালয় পরিচালন সমিতিতে দলীয় বিধায়কের মনোনীত সভাপতি পছন্দ না হওয়ায় প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করলেন তৃণমূলেরই একদল নেতা-কর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলার কলাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। ওই ঘটনায় চণ্ডীতলা ২ ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। প্রশাসন ও বিদ্যালয় সূত্রে খবর, ওই স্কুলে পরিচালন সমিতির সভাপতি হয়েছেন নলিনীরঞ্জন ঘোষ নামে এক ব্যক্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৫ ০১:৩২
Share:

বিদ্যালয় পরিচালন সমিতিতে দলীয় বিধায়কের মনোনীত সভাপতি পছন্দ না হওয়ায় প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করলেন তৃণমূলেরই একদল নেতা-কর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলার কলাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। ওই ঘটনায় চণ্ডীতলা ২ ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে।

Advertisement

প্রশাসন ও বিদ্যালয় সূত্রে খবর, ওই স্কুলে পরিচালন সমিতির সভাপতি হয়েছেন নলিনীরঞ্জন ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। ওই পদে তাঁকে মেনে নিতে পারেননি স্থানীয় কিছু লোক। তাঁদের মধ্যে এলাকার তৃণমূলের একাংশও রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, কোল ইন্ডিয়ার চাকুরে নলিনীবাবু থাকেন স্কুল থেকে অন্তত দেড় কিলোমিটার দূরে। ওই গ্রামের কোনও ছেলেমেয়ে কলাছড়ার স্কুলটিতে আসে না বললেই চলে। ফলে, সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁর পরিবর্তে স্কুলের আশপাশের এলাকা থেকে কোনও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিকে বসানোর দাবি ওঠে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে নতুন পরিচালন কমিটির বৈঠক ছিল। তার আগেই অবশ্য চণ্ডীতলা ২ ব্লক যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অনাথ ঘোষের নেতৃত্বে বেশ কিছু লোক স্কুলে যান। সভাপতি বদলের দাবিতে প্রধান শিক্ষক সাগর নন্দীকে ঘেরাও করা হয়। স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ চলে। ঘটনার খবর থানাতেও পৌছয়।

অনাথবাবুর অভিযোগ, “এলাকার মানুষের ভাবাবেগকে গুরুত্ব না দিয়ে বিধায়ক স্বাতী খোন্দকার নিজের ইচ্ছেমতো সভাপতি নিয়োগ করেছেন। পড়ুয়াদের অভিবাবকরা তো বটেই, এলাকার মানুষজনও তা মানতে পারছেন না। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই প্রধান শিক্ষকের কাছে সভাপতিকে সরানোর দাবি জানানো হয়েছে।” এ ব্যাপারে বিধায়ক স্বাতীদেবী নিজে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “এই ধরণের কোনও ঘটনার কথা শুনিনি। জেনে বলব।” নলিনীবাবুর মোবাইলে ফোন করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। প্রধান শিক্ষক সাগরবাবু বলেন, “ডিআই অফিস থেকে সভাপতি-সহ তিন জন প্রতিনিধির নাম পাঠানো হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু মানুষ সভাপতিকে মানতে চাইছেন না। বিষয়টি এডিআই-কে জানিয়েছি। বিক্ষোভের জন্য আজ নতুন বৈঠক করা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী ফের বৈঠক ডাকা হবে।” হুগলির জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই) শুক্লা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই ধরণের কোনও ঘটনা আমার জানা নেই।”

Advertisement

বিক্ষোভকারীরা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, সভাপতিকে সরানো না হলে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। চণ্ডীতলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, “ব্লকের বেশ কয়েকটি স্কুলে বিধায়কের মনোনীত সভাপতিকে নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে এলাকায়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন