বাড়তি পণ না মেলায় যুবতীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, ধৃত স্বামী

দাবিমতো বাপেরবাড়ি থেকে বাড়তি পণের টাকা এনে না দেওয়ায় অত্যাচার চালিয়ে এক যুবতীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ত্রিবেণীর বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা ঘোষ (২২) নামে ওই যুবতীকে মগরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুলিশকে জানান। প্রিয়াঙ্কার বাপেরবাড়ির লোকজনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্বামী কৌশিক ঘোষকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মগরা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৩
Share:

দাবিমতো বাপেরবাড়ি থেকে বাড়তি পণের টাকা এনে না দেওয়ায় অত্যাচার চালিয়ে এক যুবতীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ত্রিবেণীর বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা ঘোষ (২২) নামে ওই যুবতীকে মগরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুলিশকে জানান। প্রিয়াঙ্কার বাপেরবাড়ির লোকজনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্বামী কৌশিক ঘোষকে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মোট অভিযুক্ত মৃতার স্বামী-সহ চার জন। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিবেণীর শ্মশানঘাট এলাকার বাসিন্দা কৌশিকের সঙ্গে ২০১২ সালে বর্ধমানের বদ্যিপুরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কার বিয়ে হয়। কৌশিক বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী। প্রিয়াঙ্কার বাপেরবাড়ির লোকজনের দাবি, বিয়ের সময়ে পণ বাবদ এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল পাত্রপক্ষকে। পরে আরও ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তা ছাড়াও সোনার গয়নাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে খুশি না হয়ে বাড়তি পণের জন্য শ্বশুরবাড়িতে প্রিয়াঙ্কার উপরে নির্যাতন চালানো হত বলে অভিযোগ।

Advertisement

বুধবার সকালে কৌশিক কাজে চলে যান। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, রাতে কাজ থেকে ফিরে তিনি ঘরে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরিবারের অন্যদের ডেকে দড়ি খুলে তাঁরাই প্রিয়াঙ্কাকে নামান। তার পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রিয়াঙ্কার বাপেরবাড়ির লোকজনের দাবি, রাত দেড়টা নাগাদ তাঁদের মেয়ে অসুস্থ বলে কৌশিকদের তরফে ফোনে জানানো হয়েছিল। হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা প্রিয়াঙ্কার মৃতদেহ দেখেন। তার পরেই ওই অভিযোগ তুলে পুলিশে খবর দেন। প্রিয়াঙ্কার বাপেরবাড়ির কারও কারও সন্দেহ, তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

প্রিয়াঙ্কার বাবা সুশীল সরকার বলেন, “মেয়ের বিয়ের সময় যতটুকু পেরেছি যৌতুক দিয়েছি। কিন্তু ওরা আরও চাইত। মেয়ে ওর উপরে অত্যাচারের কথা বলত। বুঝতে পারিনি ওদের অত্যাচারের জন্যই মেয়েকে আত্মহত্যা করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন