মদ খাওয়ার টাকা না পেয়ে যুবককে মার দুষ্কৃতীর, বাড়ি ভাঙচুর

মদ খাওয়ার টাকা না দেওয়ায় প্রতিবেশী এক যুবককে বেধড়ক মারধর এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল এক দুষ্কৃতী এবং তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ব্যান্ডেলের বলাগড় বনমসজিদ পাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত কুশল গুহঠাকুরতা ওরফে হুলো পলাতক। হুগলির এসপি সুনীল চৌধুরী বলেন, ‘‘ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। আগেও তার বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যান্ডেল শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৫
Share:

আহত প্রলয়।—নিজস্ব চিত্র।

মদ খাওয়ার টাকা না দেওয়ায় প্রতিবেশী এক যুবককে বেধড়ক মারধর এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল এক দুষ্কৃতী এবং তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ব্যান্ডেলের বলাগড় বনমসজিদ পাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত কুশল গুহঠাকুরতা ওরফে হুলো পলাতক। হুগলির এসপি সুনীল চৌধুরী বলেন, ‘‘ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। আগেও তার বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রলয় বিশ্বাস নামে বনমসজিদ পাড়ার ওই যুবক বিয়েবাড়ির আলো সাজাতে যাচ্ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বাড়ির কাছেই রাস্তায় হুলো মদ খাওয়ার জন্য তাঁর কাছে ২০০ টাকা চায়। প্রলয় রাজি না হওয়ায় হুলো তাঁকে চড়থাপ্পর মারে। এর পরে প্রলয়বাবু সেখান থেকে চলে যান। অভিযোগ, কাজ সেরে ফেরার পরে রাতে ফের দলবল নিয়ে প্রলয়ের বাড়িতে চড়াও হয় হুলো। ইট ছুড়ে জানলার কাচ ভাঙে তারা। দরজা ভাঙারও চেষ্টা করে। উপায় না দেখে প্রলয়বাবুর মা দরজা খুলে দেন। ঘরে ঢুকে বঁটি নিয়ে তাঁর গলায় ধরে দুষ্কৃতীরা।

প্রলয়বাবুর অভিযোগ, “মায়ের গলায় বঁটি ধরে ওরা হুমকি দেয়, এক সপ্তাহের মধ্যে আমাকে খুন করে ঘরের সামনে ফেলে রেখে দেবে। মা কান্নাকাটি শুরু করে দেন।” ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। তাতে কান না দিয়ে দুষ্কৃতীরা ফের প্রলয়বাবুকে একদফা মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায় এবং বাঁ কানে কানে আঘাত লাগে। বুধবার সকালে তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চুঁচুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন প্রলয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার এক যুবক খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে হুলো ধরা পড়ে জেলে ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা বিজন বিশ্বাস বলেন, ‘‘সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েই সে ফের অসামাজিক কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছে। ব্যান্ডেলের কিছু সমাজবিরোধীর সঙ্গে যোগসাজশে এলাকায় যা খুশি তাই করছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন