মশকের দাপটে অতিষ্ঠ শহরবাসী। মশা দমনে তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগ পুরসভার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, পুর এলাকায় যত্রতত্র জমা জল এবং আবর্জনায় সারা শহরই এখন মশার আঁতুড়ঘর। মশা নিধনে বামেদের আমলে যদি বা কিছু ব্লিচিং ছড়ানো, ওষুধ স্প্রে করা হত, এখন ছিটেফোঁটাও দেকা যায় না তৃণমূল পরিচালিত পুরসবার তরফে।
শহরে মশার দাপটে যে বেড়েছে তা স্বীকার করেছেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দীপক সরকার। তিনি বলেন, “বর্ষায় ওষুধ স্প্রে করলে বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়ে কাজ হবে না। তাই স্প্রে করা হয়নি। তবে ব্লিচিং ছড়ানোর ব্যবস্থা হবে।”
মশার দাপট আরামবাগ পুর এলাকার বরাবরের ছবি। শহরে ১৮টি ওয়ার্ড। আয়তন ৮৫.৯ একর। জনসংখ্যা ৬০ হাজারের উপর। পুরবাসী অভিযোগ, মশার কামড়ে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ আরামবাগের প্রতি বছরের চিত্র। খোলা নর্দমাগুলো নিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া নেয় না পুরসভা। স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে
উদাসীন পুর কর্তৃপক্ষ। সিপিএমের আমলে যদি বা ব্লিচিং পাইডার ছড়ানো, ওষুধ স্প্রে করা হত, এখন আর সে সবের বালাই নেই। পুরসভা সূত্রের খবর, -ভিভাপ-বেটেকস্-অ্যাবেট ইত্যাদি ওষুধ ছড়িয়ে মশার ডিম মারার কথা। আর পাইরেগ্রাম ওষুধ কেরোসিন তেলের সঙ্গে ছড়িয়ে মশা মারার কথা। তবে নিয়মিত এ সব করা তো দূর, কেবল ভিভাপ ওষুধ মাঝেমধ্যে ছড়ানো হয়। তা ছাড়া পুরভার মশা মারার নিজস্ব সরঞ্জামও যথেষ্ট নেই।
পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী জানিয়েছেন, খুব শীঘ্র স্প্রে মেশিন-সহ আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হবে। খোলা নর্দমাগুলোতে গাপ্পি মাছ ছাড়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। তারা মশার ডিম খেয়ে নেবে। এ ছাড়াও মশা দমনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হবে।