যাদবপুরের প্রতিবাদে ছাত্র ধর্মঘটে মিশ্র সাড়া হুগলিতে

যাদবপুরে ছাত্রছাত্রীদের উপর নির্বিচারে লাঠি চালনার অভিযোগে ডাকা ছাত্র ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব পড়ল হুগলিতে। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন রাস্তায় নামে। এসআইআইয়ের তরফে পোস্টার সাঁটা হয়। মাইকে প্রচার করে এসইউসির ছাত্র সংগঠন ডিএসও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩২
Share:

যাদবপুরে ছাত্রছাত্রীদের উপর নির্বিচারে লাঠি চালনার অভিযোগে ডাকা ছাত্র ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব পড়ল হুগলিতে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন রাস্তায় নামে। এসআইআইয়ের তরফে পোস্টার সাঁটা হয়। মাইকে প্রচার করে এসইউসির ছাত্র সংগঠন ডিএসও। শ্রীরামপুরের কয়েকটি কলেজে এ দিনের ধর্মঘটের বেশ প্রভাব পড়ে। শ্রীরামপুর গার্লস কলেজে ছাত্রসংসদে ক্ষমতায় রয়েছে ডিএসও। এ দিন কলেজের সামনে জড়ো হয়ে সংগঠনের প্রতিনিধিরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিত্‌ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবি তোলেন। সংগঠনের দাবি, কলেজের ছাত্রীরা যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়ে এ দিন ক্লাস করেননি। ধর্মঘট সর্বাত্মক হয়েছে।

শহরের অনেক স্কুলেও এ দিন ক্লাস হয়নি। কোনও কোনও জায়গায় স্কুলের সামনে বাম ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা পতাকা টাঙিয়ে দেন। ডিএসওর জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর মণ্ডলের দাবি, বিভিন্ন জায়গায় টিএমসিপির ছেলেরা তাঁদের আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর নিন্দার ভাষা নেই। এর বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করব আমরা।’’ হুগলি জেলা টিএমসিপি নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Advertisement

এসএফআইয়ের অভিযোগ, চণ্ডীতলার মশাটে তাঁদের এক সমর্থক ধর্মঘটের সমর্থনে পোস্টার লাগানোর সময় টিএমসিপির ছেলেরা তাঁকে মারধর করে। শ্রীরামপুর কলেজের সামনে ধর্মঘটীদের সঙ্গে শাসক দলের সমর্থক ছাত্রদের বচসা হয়। তবে বড় কোনও গোলমাল হয়নি। চুঁচুড়া সদর মহকুমার হুগলি মহসিন, হুগলি উইমেন্স, বাঘাটি কলেজ-সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস হলেও পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল কম।

শহর এলাকায় ধর্মঘটের ভাল প্রভাব পড়লেও গ্রামাঞ্চলে তেমন প্রভাব পড়েনি। আরামবাগ মহকুমার প্রায় সব স্কু্ল-কলেজই খোলা ছিল। ক্লাসও হয়েছে পুরোদমে। একই ছবি ছিল তারকেশ্বর, চণ্ডীতলা, বলাগড়-সহ অন্যত্র।

এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক পার্থ দাসের অবশ্য দাবি, ‘‘আরামবাগ মহকুমা বাদে জেলার সর্বত্রই ধর্মঘট সফল হয়েছে।’’ স্বভাবতই পার্থবাবুর উল্টো পথে হেঁটে টিএমসিপির জেলা সভাপতি শুভজিত্‌ সাউয়ের মন্তব্য, “জেলার সব জায়গাতেই স্কুল-কলেজে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন হয়েছে। ধর্মঘটীরা কোনও কোনও জায়গায় জোর করে ধর্মঘট করার চেষ্টা করেছে।”

অন্যদিকে, হাওড়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যথারীতি এ দিন ক্লাস হয়েছে। তবে শহর এবং গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল বের করেছিল এসএফআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন