যুবকের দেহ উদ্ধার, খুনে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর

শরীরে বেশ কিছু ক্ষত-সহ একটি বাড়ির বারান্দার বাঁশ থেকে গলায় চাদরের ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়ায় পোলবার আমনান পঞ্চায়েতের পাতালিয়া গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পোলবা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৪ ০১:১১
Share:

শোকার্ত পরিবার। —নিজস্ব চিত্র।

শরীরে বেশ কিছু ক্ষত-সহ একটি বাড়ির বারান্দার বাঁশ থেকে গলায় চাদরের ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়ায় পোলবার আমনান পঞ্চায়েতের পাতালিয়া গ্রামে।

Advertisement

শ্যামাপদ ঘোড়ুই (১৯) নামে দাদপুরের হারিটের প্রেমনগরের বাসিন্দা ওই যুবককে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে বাড়িটিতে ভাঙচুর চালায় জনতা। ওই বাড়ির মালিক বিশ্বনাথ চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের লোকজন বেপাত্তা। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে, কেন ওই ঘটনা তা নিয়ে তদন্তকারী এবং নিহতের পরিবারের লোকজন অন্ধকারে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসু বলেন, “ওই যুবকের শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। সব দিক খোলা রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” কোনও পুরনো শত্রুতার জেরে শ্যামাপদকে খুন করা হল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, শ্যামাপদ রং-মিস্ত্রির রাজ করতেন। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে কাজে বেরিয়ে আর ফেরেননি। বাড়ির লোকজন খোঁজাখুজি করেও ব্যর্থ হন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা খবর পান, বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে পাতালিয়ায় বিশ্বনাথ চৌধুরীর টালির বাড়ির বারান্দার বাঁশ থেকে শ্যামাপদর দেহ ঝুলছে। ঘটনার খবর ছড়াতেই বিশ্বনাথের বাড়ির সামনে ভিড় জমে। প্রেমনগর থেকেও কয়েকশো লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পোলবা থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়। দেহ উদ্ধারের সময়ে বিশ্বনাথবাবু বা তাঁর স্ত্রী-ছেলে বাড়িতে ছিলেন না। বিশ্বনাথই ওই যুবককে খুন করেছেন, এই অভিযোগে তাঁর বাড়িতে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালানো হয়। পরে নিহতের দাদা তারাপদ পোলবা থানায় বিশ্বনাথের বিরুদ্ধে ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

গ্রামবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের পা মাটিতে ঠেকে ছিল। শরীরে ছিল মারধরের চিহ্ন। তাঁর মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হাতেও ক্ষত ছিল। মারের চোটে তাঁর বাম পা ভেঙে বেঁকে গিয়েছিল। বিশ্বনাথের বাড়ির কাছেই একটি দোতলা বাড়িতে রঙের কাজ করছিলেন শ্যামাপদ। বুধবারেও যান। বাসিন্দারা ওই দিন তাঁকে ওই বাড়ির ছাদে দেখেছেন। তারাপদবাবু বলেন, ‘‘বিশ্বনাথকে চিনি না। ভাইয়ের মুখে কখনও নাম শুনিনি। কেন এমন নৃশংসভাবে ভাইকে খুন করা হল ভেবে পাচ্ছি না। ভাই কোনও দিন কারও সঙ্গে ঝুট-ঝামেলায় জড়ায়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন