শৌচালয় হয়ে চালু হয়নি, সমস্যায় যাত্রীরা

নির্মল ভারত অভিযান প্রকল্পে তৈরি হওয়া দুটি শৌচালয় আজও চালু হল না। এই শৌচালয় দুটি চালু না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন উদয়নারায়ণপুরের সিংটি এলাকার মানুষ এবং নিত্যযাত্রী। সিংটি বাজার ও সিংটি ব্যসস্ট্যান্ডের এই দুটি শৌচালয়ের জন্য খরচ হয়েছিল ৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু আজও তা বন্ধ হয়ে রইল। এর জন্য বেশি সমস্যায় পড়েছেন মহিলারা। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের উদাসীনতার জন্যই এই দুটি শৌচালয় চালু হচ্ছে না। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ বাপারে পরিকাঠামোগত সমস্যাকে দায়ি করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৪ ০১:০২
Share:

তালাবন্ধ শৌচাগার।—নিজস্ব চিত্র।

নির্মল ভারত অভিযান প্রকল্পে তৈরি হওয়া দুটি শৌচালয় আজও চালু হল না। এই শৌচালয় দুটি চালু না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন উদয়নারায়ণপুরের সিংটি এলাকার মানুষ এবং নিত্যযাত্রী।

Advertisement

সিংটি বাজার ও সিংটি ব্যসস্ট্যান্ডের এই দুটি শৌচালয়ের জন্য খরচ হয়েছিল ৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু আজও তা বন্ধ হয়ে রইল। এর জন্য বেশি সমস্যায় পড়েছেন মহিলারা। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের উদাসীনতার জন্যই এই দুটি শৌচালয় চালু হচ্ছে না। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ বাপারে পরিকাঠামোগত সমস্যাকে দায়ি করেছে।

সিংটি গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০-২০১১ সাল নাগাদ তৈরি হয় সিংটি বাসস্টপের শৌচালয়। এবং এর ঠিক পরে পরেই ২০১১-২০১২ সাল নাগাদ তৈরি হয়েছিল সিংটি বাজারের শৌচালয়টি। সিংটি এলাকার এই শৌচালয় দুটি তৈরি হয়েছিল বামপরিচালিত উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সিংটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। তবে এই শৌচালয় দুটি দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল সিংটি গ্রাম পঞ্চায়েতের।

Advertisement

সিংটি বাজারে যে শৌচালয়টি রয়েছে সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি এলাকার স্থানীয় দোকানদার, বাসিন্দা এবং বাজারে আসা লোকজনদের। কারণ কমপক্ষে শ’দুয়েক দোকান এই বাজারে রয়েছে। এছাড়া এই এলাকাতে অবস্থিত প্রাণী সম্পদ দফতরের অফিস, জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্কুল পরিদর্শকের অফিস। তাই সবমিলিয়ে এখানে প্রায় হাজার লোকের আনাগোনা লেগেই থাকে। এ প্রসঙ্গে এই এলাকার এক দোকানদার বলেন, (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) “দিনে দশ বারো ঘন্টা দোকানে থাকতে হয়। তাছাড়া এই শৌচালয়টি আমাদের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও এগুলি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে সমস্যাতো হয়ই।” একই অবস্থা সিংটি বাসস্টপের শৌচালয়টিরও। যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে এই বাসস্টপ থেকে সিংটি, পাঁচরুল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু মানুষ এবং হুগলির ধাড়াশিমূল, ছত্রশাল, বন্দাইপুর এলাকার বহু যাত্রী এখান থেকে যাতায়াত করেন। ছাত্রছাত্রী, অফিসযাত্রী সহ সবমিলিয়ে শতাধিক মানুষ এই বাসস্টপটি থেকে যাওয়া আসা করে। বিশেষ করে মহিলারা এই সমস্যায় বেশি ভুগছেন বলে দাবি তাঁদের। সর্বাণী মাইতি, ইলা বন্দ্যোপাধ্যায়, পারমিতা রায় নামে একাধিক কলেজ ছাত্রী এবং অফিস যাত্রীরা জানালেন, “এই শৌচালয়টি দ্রুত চালু করার ব্যবস্থা করুক পঞ্চায়েত। বন্ধ থাকায় আমাদের মাঝেমধ্যে সমস্যায় পড়তে হয়।” তাঁদের অভিযোগ, যেখানে দেশজুড়ে শৌচালয় ও নারীদের জন্য শৌচালয়ের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে সেখানে এই শৌচালয়টি নির্মাণ হওয়ার পরও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এ বিষয়ে সিংটি গ্রামপঞ্চায়েতের উপ-প্রধান প্রবীর বসু বলেন, “বাজারের শৌচালয়টি দেখাশোনার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সেটা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি এটিকে দ্রুত চালু করার। আর বাসস্টপের শৌচালয়টিতে জলের ব্যবস্থা না থাকার জন্য চালু করা যাচ্ছে না। পাম্প বসিয়ে সেটাও দ্রুত চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন