শিশুকে অপহরণের অভিযোগে ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেফতার দম্পতি

শিশুকে অপহরণের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের কোডারমা থেকে দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে হাওড়ার ডোমজুড় থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে রুনু সর্দার নামে বছর দেড়েকের ওই শিশুটিকেও। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার। শিশু-সহ ওই দম্পতি গত ৫ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ভুবনেশ্বর দাস এবং মমতা দাস। ধৃতেরা আসলে ঝাড়খণ্ডের কোডারমার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বছর দুই ধরে ডোমজুড়ের বানিয়াড়া শিবতলায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিল। তাদেরই প্রতিবেশী ছিল রুনুরা। গত ৫ ডিসেম্বর রুনু কান্নাকাটি শুরু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমজুড় শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৮
Share:

শিশুকে অপহরণের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের কোডারমা থেকে দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে হাওড়ার ডোমজুড় থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে রুনু সর্দার নামে বছর দেড়েকের ওই শিশুটিকেও। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার। শিশু-সহ ওই দম্পতি গত ৫ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ভুবনেশ্বর দাস এবং মমতা দাস। ধৃতেরা আসলে ঝাড়খণ্ডের কোডারমার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বছর দুই ধরে ডোমজুড়ের বানিয়াড়া শিবতলায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিল। তাদেরই প্রতিবেশী ছিল রুনুরা। গত ৫ ডিসেম্বর রুনু কান্নাকাটি শুরু করে। তখন মমতা তার মায়ের কাছে গিয়ে বলে রুনুকে বাইরে থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে। রুনুর মা বিষ্ণুপ্রিয়া সর্দার বিশ্বাস করে মমতার হাতে মেয়েকে তুলে দেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ধরে মমতা রুনুকে নিয়ে না ফেরায় খোঁজাখুজি শুরু করেন বিষ্ণুপ্রিয়াদেবী। কিন্তু কোথাও রুনুকে না পেয়ে মমতার নামে ডোমজুড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সর্দার পরিবার। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। বিশেষ সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে পারে ভুবনেশ্বর ও মমতা রুনুকে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের কোডারমায় পালিয়ে গিয়েছে। এরপরেই ডোমজুড় থানার পুলিশের একটি দল কোডারমায় গিয়ে রুনুকে উদ্ধার করে এবং ভুবনেশ্বর ও মমতাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের দাবি, জেরায় মমতা জানিয়েছে, তাদের কোনও সন্তান না থাকায় তারা রুনুকে নিয়ে চলে যায়। পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করেছে। সোমবার তাদের হাওড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন