নয়ানজুলি থেকে টেনে তোলা হচ্ছে বাস। শুক্রবার হরিপালে দীপঙ্কর দে-র তোলা ছবি।
দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে হুগলিতে এক যুবক-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
এ দিন হরিপালের নন্দকুঠির কাছে শ্রীরামপুর-তারকেশ্বর ১২ নম্বর রুটে একটি বাস নয়ানজুলিতে উল্টে গিয়ে মৃত্যু হয় বরুণ পাখিরা (৫২) নামে এক যাত্রীর। আহত হন অন্তত ২০ জন। অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটে। সেখানে একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তাপস হাজরা (২৬) নামে এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারকেশ্বর থেকে ১২ নম্বর রুটের বাস শ্রীরামপুরের দিকে আসছিল। দুপুর ১২টা নাগাদ উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোটরবাইককে পাশ কাটাতে গিয়ে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই বরুণবাবুর মৃত্যু হয়। বাড়ি বাহিরখণ্ডেই। বাহিরখণ্ড বাজারে তাঁর ফুলের দোকান রয়েছে। তিনি তারকেশ্বরে কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসে বাড়ি ফিরছিলেন। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরে হরিপাল থানার পুলিশ এবং বিডিও আসেন। আহতদের হরিপাল এবং তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ দেরি করে এসেছে, এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধও হয়। পুলিশের সঙ্গে লোকজনের বচসা হয়। দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌছনোর অভিযোগ মানেননি পুলিশকর্তারা।
পরে রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক বেচারাম মান্না এবং জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ সমীরণ মিত্র হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার তদারকি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আহতদের কয়েক জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বরুণবাবুর দেহ ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাসটি আটক করা হয়। চালক এবং খালাসি পলাতক।
দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ অন্য ঘটনাটি গোঘাটে ভিকদাসে আরামবাগ-কামারপুকুর রোডের উপরে ঘটে। পুলিশ জানায়, পাতুলসারার বাসিন্দা তাপস এ দিন ওই রাস্তা ধরে সাইকেলে মামার বাড়ি বলরামপুরে যাচ্ছিলেন। পিছন থেকে একটি ট্রাক তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ট্রাক ফেলে চালক পালিয়ে যান। মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। আড়াই ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে।