৩ মাসেও বৃত্তির টাকা অমিল, ক্ষুব্ধ স্কুলের পড়ুয়ারা

নির্দিষ্ট সময়ের পরে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও বৃত্তির টাকা (প্রি অ্যান্ড পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ) হাতে পেল না গোঘাট-২ ব্লকের শ্যামবাজার হাইস্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির তফসিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত ২৯ জন ছাত্রছাত্রী। ফলে, তাদের অনেকেই ওই টাকায় বইপত্র বা শিক্ষা সরঞ্জাম এখনও কিনে উঠতে পারেনি। ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই, ক্ষুব্ধ তাদের অভিভাবকেরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৪ ০৩:১৫
Share:

নির্দিষ্ট সময়ের পরে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও বৃত্তির টাকা (প্রি অ্যান্ড পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ) হাতে পেল না গোঘাট-২ ব্লকের শ্যামবাজার হাইস্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির তফসিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত ২৯ জন ছাত্রছাত্রী। ফলে, তাদের অনেকেই ওই টাকায় বইপত্র বা শিক্ষা সরঞ্জাম এখনও কিনে উঠতে পারেনি। ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই, ক্ষুব্ধ তাদের অভিভাবকেরাও।

Advertisement

সম্প্রতি জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরে খোঁজ নিয়ে ওই ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকেরা জানতে পারেন, বৃত্তির টাকার জন্য আবেদনপত্র অনলাইনে নথিভুক্তই হয়নি। এই পরিস্থিতির জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ব্লক প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। বিডিও শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত বুধবার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। বিডিও জানান, প্রধান শিক্ষক সমস্যার কথা জানিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের আবেদনপত্র নথিভুক্ত হয়নি। জেলা প্রশাসনের কাছে গোটা বিষয় জানানো হয়েছে। আবেদনপত্রগুলি যাতে নথিভুক্ত করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।

দেরির জন্য নিজের যথাযথ তদারকিতে ঘাটতি ছিল বলে মেনে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক রথীন্দ্রনাথ মণ্ডল। তিনি বলেন, “প্রথমেই আমার বিডিওর দ্বারস্থ হওয়া উচিত ছিল।” একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, আবেদনপত্র নথিভুক্ত করার বিষয়ে নানা কারণ দেখিয়ে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের কর্মীরা তাঁকে বারবার বিভ্রান্ত করেছেন। কখনও জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীদের আবেদনপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কখনও জানিয়েছে ফর্ম পূরণে ভুল ছিল। কখনও বলেছেন, কম্পিউটারে কাজ জানা কর্মী না-আসায় নথিভুক্তিতে দেরি হচ্ছে। এর ফলেই আবেদনপত্র যথাযথ ভাবে নথিভুক্ত এখনও করা যায়নি।

Advertisement

ওই দফতরের কর্মীদের দাবি, দফায় দফায় আবেদনপত্র দেওয়ায় গোলমাল হতে পারে। তা ছাড়াও অনলাইনে নথিভুক্ত করার মতো কম্পিউটার জানা কর্মীর অভাবও ছিল। লোকসভা ভোটের ব্যস্ততাকেও দায়ী করেছেন কেউ কেউ।

ব্লক প্রশাসন এবং স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রকল্পে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ পেরিয়ে গিয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর। স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের ওই আবেদনপত্র ব্লক অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরে জমা দেন তিন দফায়। প্রথম দফায় ১০ ডিসেম্বরে জমা পড়ে ২৬টি। দ্বিতীয় দফায় ১২ ডিসেম্বর জমা পড়ে দু’টি এবং তৃতীয় দফায় ১৭ ডিসেম্বর জমা পড়ে একটি। পরে সেই আবেদনপত্র অনলাইনে নথিভুক্ত করে পাঠানোর কথা ছিল জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরে। সাধারণ ভাবে মার্চ মাসে ওই ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা চলে আসার কথা। কিন্তু এ বার তা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন