বিনয়ের বোর্ডকে বিপুল বরাদ্দ

নতুন বোর্ড গঠনের সঙ্গে সঙ্গে অর্থ দফতরের বিশেষ অডিটের টিমও দার্জিলিং থেকে ফিরিয়ে এনেছে রাজ্য। বিমল গুরুঙ্গের আমলে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ পেয়ে ওই তদন্ত শুরু হয়েছিল।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১৫
Share:

বিনয় তামাঙ্গ।

বিনয় তামাঙ্গের নেতৃত্বাধীন জিটিএ-কে অনুদান ও উন্নয়ন খাতে চলতি বছরে অন্তত চার-পাঁচশো কোটি টাকা দেবে রাজ্য। সরকারের দাবি, জিটিএ-র অস্থায়ী বোর্ড গঠনের পর এখন একমাত্র লক্ষ্য পাহাড়ের উন্নয়ন।

Advertisement

নবান্নের এক কর্তার কথায়, ‘‘জুনে গোলমাল শুরুর পর বন্‌ধের জন্য ১০০ দিন কোনও কাজ হয়নি। চলতি আর্থিক বছরে উন্নয়ন খাতে যা বরাদ্দ হয়েছিল, তা আগামী ছ’মাসেই খরচ করতে হবে। সেই কাজ করবেন বিনয় তামাঙ্গের নেতৃত্বাধীন বোর্ডই। তাঁর ও পাহাড়বাসীর নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের।’’

নতুন বোর্ড গঠনের সঙ্গে সঙ্গে অর্থ দফতরের বিশেষ অডিটের টিমও দার্জিলিং থেকে ফিরিয়ে এনেছে রাজ্য। বিমল গুরুঙ্গের আমলে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ পেয়ে ওই তদন্ত শুরু হয়েছিল। আপাতত তা বন্ধ রাখা হচ্ছে। বরং ট্রেজারি এবং জিটিএ-র বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কী পরিমাণ টাকা জমা রয়েছে, তার খোঁজ চলছে।

Advertisement

এ দিনই সরকারের জারি করা বি়জ্ঞপ্তি নবগঠিত বোর্ডের সদস্যদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সম্ভবত সোমবার বিনয় বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং অনীত থাপা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে কাজে যোগ দেবেন। মন ঘিসিঙ্গ, অমর সিং রাইয়ের মতো কয়েকজন সদস্য অস্থায়ী বোর্ডে যুক্ত হবেন কি না তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছেন নবান্নের কর্তারা। তাঁরা যোগ না দিলে ‘সরকারপন্থী’ বিকল্প কয়েকটি নাম ভেবে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত সাধু

গুরুঙ্গ অফিস করতেন ভানু ভবনে। ৯ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সেখান থেকেই মোর্চা নেতারা গোলমাল পাকান বলে অভিযোগ। বিনয় সেখানে বসতে চাইছেন না। জিটিএ এর এক কর্তা জানান, বিনয় ও অনীত লালকুঠিতে অফিস করবেন। ভানু ভবন এখন পুলিশ দখল করে নিয়েছে। সেখানে অস্থায়ী বোর্ডের অফিস হওয়াটা বাঞ্ছনীয় নয়।

সরকার এক দিকে যেমন বিনয়দের হাতে অর্থ ও ক্ষমতা তুলে দিতে চাইছে, ঠিক তেমনই বিমল-রোশন গিরি জুটির বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করছে। সরকারের দাবি, দিল্লিতে বসে রোশন কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করছিলেন। শুক্রবার পুলিশের তাড়া খেয়ে সেখান থেকেও পালিয়েছেন তিনি। গুরুঙ্গ আপাতত বাংলা-সিকিম সীমানায় কয়েকজন ব্যবসায়ী বন্ধুর বাড়ি পাল্টে পাল্টে থাকছেন। দার্জিলিংয়ে সরকারি জমি দখল করে গুরুঙ্গ বেশ কিছু সম্পত্তি বানিয়েছিলেন। সরকার সে সব দখল নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

নবান্ন মনে করছে, ‘বিনয় নিকট-বিমল দূর’ নীতিতেই পাহাড়ে শান্তি ফিরবে। এক কর্তার কথায়, ‘‘এখনও যাঁরা গুরুঙ্গের হয়ে বোমা ছুড়ছেন, তাঁরা কিছু দিনের মধ্যে বিনয়ের কাছে ঠিকাদারির কাজ চাইতে আসবেন। সরকার সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় রয়েছে। তখন পাহাড়ে গুরুঙ্গের আর কোনও অস্তিত্বই থাকবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন