তিতলির রেশ কাটতেই পর্যটনকেন্দ্র দিঘায় ফের ঝলমলে রোদ। আর সকাল থেকে মেঘ-বৃষ্টি অদৃশ্য হতেই সমুদ্রের পাড়ে উপচে পড়ল ভিড়। তার উপর সমুদ্রে নামার নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় পর্যটকদের পোয়াবারো। হোটেল ছেড়ে অনেকেই নেমে পড়েন সমুদ্রে।
শুধু সমুদ্রের পাড়েই নয়, সকাল থেকে ঢল নামে পুজোর মণ্ডপেও। মেঘ আর বৃষ্টির চোখ রাঙানিতে এই কয়েকদিন মণ্ডপে যেতে না পারলেও রবিবার, পঞ্চমীর সকালে সূর্য হেসে উঠতেই হাসি ফোটে সবার মুখে। পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করে মণ্ডপে মণ্ডপে। শংকরপুর, মন্দারমণি ও তাজপুর পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও দেখা গিয়েছে এক ছবি। পর্যটকদের আনাগোনায় হাসি ফুটতে শুরু করেছে দিঘার ব্যবসায়ী থেকে হোটেল মালিকদের মুখে।
পর্যটকরাও বেজায় খুশি। কারণ এদিন সমুদ্রে স্নানের পরিচিত দৃশ্য ফের দিঘায় ফিরে এসেছে। সৈকতে নুলিয়া ও পুলিশ মোতায়েন থাকলেও স্নানের ক্ষেত্রে তেমন কড়াকড়ি ছিল না। তিতলির কারণে নিষেধাজ্ঞার জন্য সমুদ্র স্নান করতে না পারার আক্ষেপ এদিন কড়ায় গণ্ডায় মিটিয়ে নেন পর্যটকরা। কলকাতার দমদম থেকে আসা অনুপম রায় বলেন , ‘‘ভেবেছিলাম নিম্নচাপ না কাটলে কলকাতায় ফিরে যাব। কিন্তু ফেরার সেই সিদ্ধান্ত আপাতত বাতিল। প্রায় দু’ঘণ্টা স্নান করেছি সমুদ্রে।’’
তিতলির দাপটে অনেক পর্যটক হোটেলের বুকিং বাতিলের কথা ভেবেছিলেন। কবে তিতলি ও নিম্নচাপের দাপট শেষ হবে, তা ভেবে চিন্তায় ছিলেন হোটেল মালিকেরাও। এ দিন আবহাওয়া ভাল হওয়ার খবর পেয়ে তাঁরা হাঁপ ছাড়েন।
দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “বেশির ভাগ হোটেলের ঘর পুজোর দিনগুলিতে বুকিং রয়েছে। তাই তিতলির দাপট কতদিন চলবে সেটা নিয়ে কিছুটা চিন্তা তো ছিলই।’’ জেলা পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “তিতলি চলে গেলেও দিঘায় কড়া নিরাপত্তা থাকবে। জনতার ঢলের কথা ভেবেই বাড়তি সতর্ক রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। শুধু সৈকত এলাকা নয় , সারা দিঘা জুড়েই পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।’’
কয়েকদিনের নিম্নচাপের পর ট্রলারগুলো সমুদ্রে রওনা হওয়ায় খুশি মৎস্যজীবীরা।