হুমায়ুন কবীর। — ফাইল চিত্র।
এক সময় চলেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। নেত্রী তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দেওয়ায়, দল তাঁকে নিলম্বিত করায় ক্ষোভ যাচ্ছে না মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। শনিবার বিকেলে রেজিনগরে স্টেশন লাগোয়া মাঠে নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণার প্রস্তুতিসভায় তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছেন! কাজের সময় কাজি, আর কাজ ফুরোলেই পাজি!’’ পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
হুমায়ুন এ দিন দাবি করেন, ‘‘গত লোকসভা ভোটের সময় আপনিই (তৃণমূল নেত্রী) আমাকে বলেছিলেন, ইউসুফ পাঠান এবং আবু তাহের খান জয়ী হতে পারবেন না। ‘যা করতে হয় করো’। আপনার কথা শুনে শক্তিপুরের বক্তব্য (কেটে ভাসিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত) রেখেছিলাম।’’ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘যে কোনও দলই জয়ের জন্য বলবে। কিন্ত তার মানে কি কুকর্ম করতে বলা হয়েছে!’’
এ দিন সভার পরে মুর্শিদাবাদে বিধানসভা ভোটে সম্ভাব্য দলের আসন বণ্টনের নতুন সমীকরণের কথাও শোনান হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে জোটের ফর্মুলাও আছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় ২২টি আসনের মধ্যে আমার দল ৯টি, কংগ্রেস ৯টি, সিপিএম তিনটি এবং আইএসএফ একটি আসনে লড়াই করবে। তা না হলে আমার দলই জেলার ২২টি আসনে লড়বে।’’
অন্য দলগুলির সঙ্গে কথা হয়েছে কি? হুমায়ুন বলেন, ‘‘কথা কিছুটা হয়েছে। এখনই প্রকাশ করার মতো নয়।’’ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘কে, কী বলছেন,জানা নেই।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে