পুজোর স্টল একটা ভাঙলে দু’টো গড়ব, বই-অস্ত্র সূর্যের

বালিগঞ্জে তাদের মার্ক্সীয় পুস্তক বিপণি খুলতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি বেলেঘাটায় একটি স্টল ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। বিধাননগরেও একটি স্টলের সামনের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ শাসক দলের দিকেই। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৩
Share:

বেলেঘাটায় সিপিএমের বইয়ের স্টল। বুধবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

পুজো গড়াতেই সিপিএমের বইয়ের স্টল ভাঙার অভিযোগ আসতে শুরু করল শহরের কিছু জায়গা থেকে। বালিগঞ্জে তাদের মার্ক্সীয় পুস্তক বিপণি খুলতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি বেলেঘাটায় একটি স্টল ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। বিধাননগরেও একটি স্টলের সামনের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ শাসক দলের দিকেই।

Advertisement

যদিও তৃণমূল এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে দলের যোগ অস্বীকার করেছে। বেলেঘাটার ভেঙে দেওয়া স্টলের কাছেই রাস্তার ধারে বই সাজিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র চ্যালেঞ্জের সুরেই বলেছেন, ‘‘একটা স্টল ভাঙলে দু’টো গড়ব। বই আমাদের লড়াইয়ের হাতিয়ার।’’

বেলেঘাটার সিআইটি মোড়ে সপ্তমীর সন্ধ্যায় বইয়ের স্টলের উদ্বোধন করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য রূপা বাগচী। স্থানীয় সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, উদ্বোধন-পর্ব শেষ হওয়ার পরে এক দল যুবক জোরজবরদস্তি স্টলটি ভেঙে দেয়। এলাকায় পুলিশ থাকলেও তারা নীরব ছিল। রূপা এ দিন বলেন, ‘‘গত বছরও ওই জায়গায় বইয়ের স্টল করা হয়েছিল। এ বার বইপত্র নিয়ে স্টলটি চালু করার পরে শুনলাম তৃণমূলের মদতে কিছু লোক গিয়ে সেটা ভেঙে দিয়েছে।’’ যদিও প্রশ্ন করা হলে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পবিত্র বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্টল ভাঙার কোনও খবর জানি না। কোথায় হয়েছে, তা বলতে পারব না।’’ সিপিএমের একাধিক নেতার বক্তব্য, পুজোর সময়ে বিভিন্ন মণ্ডপের সামনে স্টল খুলে বাম মতাদর্শের এবং অন্যান্য বই বিক্রি করা বহু দিনের রেওয়াজ। কিন্তু গত কয়েক বছরে তৃণমূল তাতেও বাধা দিচ্ছে।

Advertisement

বিধাননগরের আইএ ব্লকে একটি স্টল বন্ধ করার জন্য স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের লোকজন এসে হুমকি দিয়েছেন বলে সিপিএমের অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ এলেও তারা কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। পরে ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। যদিও সিপিএম নেতারা জানান, তাঁরা ওই অবস্থাতেই ফের স্টল খুলেছেন। তৃণমূল কাউন্সিলর ঘটনার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ অস্বীকার করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন