প্রযুক্তিবিদ্যার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের ভর্তির হার কম। সেটাই ভাবাচ্ছে খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষকে। কী ভাবে ছবিটা বদলানো যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন তাঁরা।
দু’দিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে রবিবার আইআইটিতে এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী জানান, খড়্গপুর আইআইটিতে মাত্র ৯ শতাংশ ছাত্রী স্নাতকস্তরে পড়ছেন। অথচ এ বারের সমাবর্তনে দেখা যাচ্ছে, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, গবেষক— সব মিলিয়ে পুরস্কৃতদের ৪০ শতাংশই ছাত্রী। পার্থপ্রতিমবাবুর কথায়, “দেশের অন্য ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক ছাত্রী ভর্তি হচ্ছে। কিন্তু আইআইটিতে মেয়েরা সেভাবে আসছে না। প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও মেয়েরা বসছে কম। ফলে যোগ্যতা বিচার করা যাচ্ছে না।’’ কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি?
অধিকর্তা পার্থপ্রতিমবাবুর মতে, “অনেক রক্ষণশীল পরিবার মেয়েদের আইআইটিতে পাঠাচ্ছে না। তারা চায় মেয়ে যেখানে পড়বে, সেখানে সন্ধে সাতটার পরে হস্টেলের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এখানে ছেলে-মেয়েদের আলাদা চোখে দেখা হয় না।” আইআইটি-র ছাত্রীরাও এখানকার মুক্ত পরিবেশের প্রশংসা করছেন। যাদবপুরের বাসিন্দা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইআইটিতে চার বছর কাটিয়ে মনে হয় জীবনে ঠিকই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বাধীনতা পেলেই মানসিকতা নষ্ট হয় না।”
তা হলে কি মেয়েদের জন্য আসন সংরক্ষণ হবে? পার্থবাবুর জবাব, “সংরক্ষণ করলে জাতিগত সংরক্ষণের প্রশ্ন আসবে। তবে মেয়েদের সংখ্যা বাড়াতে আমরা নানা ভাবনাচিন্তা করছি। যে পদ্ধতিতে জটিলতা কাটিয়ে তোলা যাবে, তাতে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অনুমোদন নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।’’