প্রতিবাদীর ইস্তফা গৃহীত আইআইটিতে

আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা সংস্কারের ক্ষেত্রে রাজীব কুমারের ভূমিকার জন্য ২০১১-য় তাঁর প্রশংসা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই বছরই তাঁকে সাসপেন্ড করে আইআইটি। ল্যাপটপ কেনায় অনিয়ম ও পরীক্ষায় টোকাটুকি-সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ এনেছিলেন রাজীব।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২২
Share:

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবাদী অধ্যাপক রাজীব কুমারের ইস্তফা অবশেষে গ্রহণ করলেন আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ। অনিয়মের অভিযোগে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। পরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন।

Advertisement

আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা সংস্কারের ক্ষেত্রে রাজীব কুমারের ভূমিকার জন্য ২০১১-য় তাঁর প্রশংসা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই বছরই তাঁকে সাসপেন্ড করে আইআইটি। ল্যাপটপ কেনায় অনিয়ম ও পরীক্ষায় টোকাটুকি-সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ এনেছিলেন রাজীব। তার পরেই তাঁর বিষয়ে তদন্ত কমিটি বসানো হয়। প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাহানির অভিযোগে ওই অধ্যাপককে দোষী সাব্যস্ত করে তদন্ত কমিটি। ২০১৪ সালে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। আইআইটি-র ‘ভিজিটর’ রাষ্ট্রপতির কাছেও বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আর্জি জানান রাজীব। রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষের কয়েক দিন আগে আর্জি মঞ্জুর করে বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত খারিজ করার নির্দেশ দেন প্রণববাবু। গত সপ্তাহে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত মানতে আইআইটি খড়্গপুরকে নির্দেশ দেয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: আন্দোলনে আছি যুদ্ধে নয়, আতঙ্কে পাহাড়

২০০০ সালে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে খড়্গপুর আইআইটিতে যোগ দেন রাজীব কুমার। ২০০৬-এ আইআইটি-র জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি। রাজীবের অভিযোগ, এরপর থেকেই তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। রবিবার ফোনে তিনি বলেন, ‘‘২০১২-তে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছিলাম আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ঠিক নয়। এত দিনে রাষ্ট্রপতি সাড়া দিয়েছেন।’’ রাজীব জানান, ২০১৬-তেএক বার ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তখন আইআইটি তা গ্রহণ করেনি। তাঁকে পড়াতে দেওয়া হয়নি। এমনকী বিভাগে ঢুকতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। রাজীবের কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপে এখন আইআইটি অভিযোগ তুলে নিলেও এই পরিস্থিতিতে ওখানে কাজ করা অসম্ভব। তাই ইস্তফা।’’

খড়্গপুর আইআইটি-র রেজিস্ট্রার প্রদীপ পাইন বলেন, ‘‘২০১১ -তে প্রতিষ্ঠানের তরফে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৪-তে ওঁকে বাধ্যতামূলক অবসর নিতেও বলা হয়। তারপরই উনি রাষ্ট্রপতির কাছে আইআইটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি ওঁকেই সমর্থন করেছেন। তারপর আমরাও ওঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করেছি।’’ এরপরেই বাধ্যতামূলক অবসরের পাল্টা হিসেবে ইস্তফা দিতে চান রাজীব কুমার। তা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান প্রদীপবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement