Midnapore

ভুল করে বন্দিকে ছেড়ে দিল মেদিনীপুর জেল!

বেলদার বাসিন্দা চন্দন গড়াইকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল বধূ নির্যাতনের মামলায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ২০:০৬
Share:

ভুল করে এই চন্দন গড়াইকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। —নিজস্ব চিত্র।

ভুল করে বন্দিকে ছেড়ে দিলেন জেল কর্তৃপক্ষ! এমন আজব ঘটনাই ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরেজেল কর্তৃপক্ষের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ দেখে তাজ্জব হয়ে গেলেন মেদিনীপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট।

Advertisement

বেলদার বাসিন্দা চন্দন গড়াইকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল বধূ নির্যাতনের মামলায়। তাঁকে গ্রেফতার করা হয় গত মাসের ২৬ তারিখ। বধূ নির্যাতনের পাশাপাশি খোরপোশ সংক্রান্ত একটি মামলাও দায়ের হয় চন্দনের বিরুদ্ধে।বুধবার মেদিনীপুর মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রসূন ঘোষের এজলাসে চন্দনের বধূ নির্যাতনের মামলার শুনানি ছিল। থানা থেকে মামলার কাগজ এসে গেলেও দেখা মিলছিল না অভিযুক্তের। বিচারক পুলিশকে অভিযুক্ত কোথায় প্রশ্ন করলে পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত জেল হেফাজতে। বিচারক নথিতেও দেখেন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে অভিযুক্তের থাকার কথা।

সঙ্গে সঙ্গে তলব করা হয় জেল কর্তৃপক্ষকে। জানতে চাওয়া হয় বন্দির হাল-হকিকৎ। অনেক সময় বন্দি অসুস্থ থাকলে আদালতে হাজিরকরানো যায় না। সেক্ষেত্রে জেল কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানিয়ে দেন যে, বন্দি অসুস্থ, সে কারণে হাজির করানো যাচ্ছে না। অথচ চন্দনের ক্ষেত্রে এ রকম কোনও খবর আদালতকে দেওয়া হয়নি!

Advertisement

আরও পড়ুন: এ-স্যাট: মোদীকে ‘নাট্য দিবসের শুভেচ্ছা’ জানালেন রাহুল, ‘নাটক’ বললেন মমতাও​

আরও পড়ুন: মহাকাশে মহাশক্তি ভারত, মোদীর ঘোষণার পরই কৃতিত্ব নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা

দুপুরেই আদালতে হাজির হন জেল সুপার সৌমিক সরকার এবং অন্য এক আধিকারিক। তাঁরা এসে বিচারকের কাছে ক্ষমা চেয়ে জানান যে ,তাঁরা ভুল করে সোমবার ছেড়ে দিয়েছেন অভিযুক্তকে।কেন ছেড়ে দেওয়া হয়? সে রহস্য ভেদ হয় কিছু সময় পরে।জানা যায়, গত ২৫ মার্চ অন্য একটি মামলায় শুনানি ছিল চন্দনের। সেই মামলায় ওইদিন জামিন হয়ে যায় তার। ওই দিন জেলে ফিরে যাওয়ার পর চন্দনের জামিনের কাগজও পৌঁছয়। সেই কাগজ দেখে জেল কর্তৃপক্ষ চন্দনকে ছেড়েও দেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও একটি যে মামলা রয়েছে এবং সেই মামলায় তাঁর জেল হেফাজত রয়েছে, সে কথা বেমালুম ভুলে যান কর্তৃপক্ষ।

বিচারক জেল আধিকারিকদের ওই ভুলের জন্য ভর্ৎসনা করেন। তিনি বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, অভিযুক্তের এ দিন আদালতে হাজিরা থাকায় সে নিজেই চলে এসেছিল আদালতে। তাঁর আইনজীবী বিচারকের কাছে অভিযুক্তকে নিয়ে যান। এর পর বিচারক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করেন। বৃহস্পতিবার ফের তাঁকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

(দুই বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, 'বাংলার' খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন