Durga Puja 2019

অষ্টমীতেও বর্ষার চোখরাঙানি, উৎসবে মাতোয়ারা বাংলা

সকালের দিকে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। ফের সন্ধের মুখে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৪২
Share:

দক্ষিণ কলকাতার পুজো মণ্ডপে দর্শকের ভিড়। ছবি - অরিত্র দাস।

উৎসবের আমেজ ভেস্তে দিতে অষ্টমীতেও চোখ রাঙাচ্ছে বর্ষাসুর। সকালের দিকে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। ফের সন্ধের মুখে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

Advertisement

ইতিমধ্যে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও বর্ষাসুরের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই ছাতা মাথায় প্রতিমা দর্শনে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। দুপুরের পর মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় বাড়ছে। শুধু কলকাতাতেই নয়, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাও়ড়া, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনাতেও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

গত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে কোথাও একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস জানিয়েছে, নবমীতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হবে। তবে দশমীতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা লাগোয়া এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। তা ছাড়া বর্ষার বিদায় বেলায় মৌসুমীবায়ু সক্রিয় হয়েছে। এই দুয়ের প্রভাবে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এ দিন বিকালে বৃষ্টির সময় যাদবপুরের সুলেখা মোড়ের কাছে পুজোর লাইটের গেট ভেঙে পড়ে বিপত্তি ঘটে। ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে যায়। তার পর সাময়িক সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই গেট ভেঙে পড়ায় এলাকায় যানজটের সমস্যা দেখা দেয়।

Advertisement

যাদবপুরের সুলেখা মোড়ে লাইটের গেট ভেঙে বিপত্তি। নিজস্ব চিত্র।

এ দিন সুরুচি সংঘের পুজোতে তারকা সমাবেশ ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ঢাক বাজাতে দেখা যায়। অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান এবং তাঁর স্বামী নিখিল জৈনকে নিয়ে তিনি সুরুচি সংঘের পুজোয় অঞ্জলি দেন। অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার বোন নুসরত তো প্রতি বছরই আসেন। এ বার প্রথম বোনের বর এলেন।’’

১৪ পল্লি উদয়ন সংঘে পুজোয় ঢাক বাজাতে দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে।

বাঘাযতীনের তরুণ সংঘের পুজোয় অঞ্জলী দেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা। তাঁর কথায়: ‘‘অষ্টমীর অঞ্জলি ছাড়া পুজো ভাবাই যায় না। ঠাকুর দেখতে ভাল লাগে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা তো রয়েইছে।’’

কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, সল্টলেক থেকে গড়িয়া— পুজোর উৎসবে মেতে রয়েছেন রাজ্যবাসী। বারোয়ারি হোক বা বনেদিবাড়ি, এ দিন রীতি মেনে অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়ে পুজো শুরু হয়। দুপুরের দিকে সন্ধি পুজো হয়েছে আচার মেনেই।

আরও পড়ুন: জলপথে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে থানাকে নির্দেশ

আরও পড়ুন: ‘দুঃখিনী বর্ণমালা’ না ‘দেশের সেরা’, উঠেছে জোর বিতর্ক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন