—প্রতীকী চিত্র।
আইন মানেনি পুলিশ! দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে কেন্দ্রীয় শুল্ক আধিকারিকের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে মারধরের ঘটনায় এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ বলেন, ‘‘আপনারা প্রাথমিক অনুসন্ধান করেছিলেন?’’
সপ্তাহ দুই আগে রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে শুল্ক দফতরের ওই আধিকারিক এক অটোচালকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। রাস্তায় পাশ কাটানো নিয়ে বাইকআরোহী ওই কেন্দ্রীয় আধিকারিকের হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ। তখনকার মতো অশান্তি মিটলেও থানিক ক্ষণ পরে ওই অটোচালক দলবল নিয়ে সোনারপুর মেগাসিটি আবাসনে ঢুকে পড়েন। সেখানে কেন্দ্রীয় শুল্ক আধিকারিকের ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রহৃত হন তাঁর স্ত্রী-সন্তান। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করার পর অটোচালক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে তাড়াতাড়ি তাঁরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান।
পাল্টা ওই শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে তাঁর মায়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন অভিযুক্ত অটোচালক। এই অবস্থায় গত সপ্তাহে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিক। শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিতারপতি ঘোষ বলেন, ‘‘আধিকারিকের বিরুদ্ধে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। এবং তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে।’’
শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, অটোয় থাকার পরেও কী ভাবে আধিকারিকের বাবার নাম জানলেন অভিযোগকারী?’’ তিনি জানান, এই মামলায় তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের আচরণ সন্দেহজনক। ঊর্ধ্বতন কোনও আধিকারিককে দিয়ে ওই মামলার তদন্তের দাবি জানান শুল্ক আধিকারিকের আইনজীবী। পাল্টা রাজ্যের তরফে আইনজীবী আদালতকে জানান, মারধরের ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যে যে ধারা যোগ করা হয়েছে, তাতে অভিযুক্তেরা দোষী প্রমাণিত হলে অন্তত সাত বছরের কারাদণ্ড হবে।
পুলিশকে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে কি? তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেবেন।’’ আগামী ১৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। সে দিনই রাজ্যকে আদালতে রিপোর্ট জমা করতে হবে।