মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় তাপস পালকে তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। বুধবার ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, জেরায় তৃণমূলের ওই সাংসদ-অভিনেতা কলকাতার এক চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীর নাম করে জানিয়েছেন, তাঁর মাধ্যমেও বাজার থেকে তোলা রোজ ভ্যালির টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল। সেই টাকা শুধু বিদেশের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে তা নয়, সেখানে ওই টাকায় সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলেও নির্দিষ্ট তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।
সিবিআইয়ের ওই সূত্র জানাচ্ছে, ওই ব্যবসায়ী রোজ ভ্যালির কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরির চুক্তি করতেন। রোজ ভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডু নিজেও তদন্তকারীদের কাছে অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার পরেও চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়নি। টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। তাপসকে জেরা করে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত যে সব তথ্য মিলেছে, তার সঙ্গে গৌতমের অভিযোগগুলি মিলিয়ে দেখছে সিবিআই।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, রোজ ভ্যালির সিনে ডিভিশনের অন্যতম কর্তা হিসেবে তাপসই ঠিক করতেন সংস্থার আর্থিক অনুদানে বাংলা ছবি প্রযোজনার দায়িত্ব কে পাবেন বা পাবেন না। সেই সূত্রেই উঠে এসেছে টালিগঞ্জের এক প্রথম সারির অভিনেত্রী ও তাঁর স্বামীর নাম। সিবিআইয়ের একটি সূত্র বলছে— রোজ ভ্যালির প্রযোজনায় যে সব ছবি হয়েছে, তার অনেকগুলোরই অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন ওই চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী। পাশাপাশি তিনি নিজেও ছবি প্রয়োজনার জন্য রোজ ভ্যালির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন। রোজ ভ্যালির আর পাঁচটা ব্যবসার মতো সিনেমা প্রযোজনার আড়ালেও একাধিক অ্যাকাউন্টে টাকা পাচার হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।
তদন্তকারীদের কথায়, ওই চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ছবি প্রযোজনার হিসেব-নিকেশ জমা দিয়েছেন তিনি। তাপসের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ধরে সেগুলো এখন আবার নতুন করে খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিবিআই।